Përkthimi i kuptimeve të Kuranit Fisnik - Përkthimi bangalisht - Ebubekër Zekeria

Numri i faqes:close

external-link copy
20 : 75

كَلَّا بَلۡ تُحِبُّونَ ٱلۡعَاجِلَةَ

কখনো না, বরং তোমরা দুনিয়ার জীবনকে ভালবাস info
التفاسير:

external-link copy
21 : 75

وَتَذَرُونَ ٱلۡأٓخِرَةَ

আর তোমরা আখেরাতকে উপেক্ষা কর [১]। info

[১] অর্থাৎ মানুষ আখেরাত অস্বীকার করে কারণ তারা সংকীর্ণমনা ও স্বল্পবুদ্ধি সম্পন্ন; তাই তাদের দৃষ্টি কেবল এ দুনিয়ার ফলাফলের প্রতি নিবদ্ধ থাকে। আর আখেরাতে যে ফলাফলের প্রকাশ ঘটবে তাকে তারা আদৌ কোনো গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করে, যে স্বাৰ্থ বা ভোগের উপকরণ বা আনন্দ এখানে লাভ করা সম্ভব তারই অন্বেষণে সবটুকু পরিশ্রম করা এবং প্রচেষ্টা চালানো উচিত, এভাবে তারা দুনিয়াকে চিরস্থায়ী মনে করে। [ইবন কাসীর; মুয়াস্সার]

التفاسير:

external-link copy
22 : 75

وُجُوهٞ يَوۡمَئِذٖ نَّاضِرَةٌ

সেদিন কোনো কোনো মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হবে, info
التفاسير:

external-link copy
23 : 75

إِلَىٰ رَبِّهَا نَاظِرَةٞ

তারা তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে [১]। info

[১] অর্থাৎ সেদিন কিছু মুখমন্ডল হাসি-খুশী ও সজীব হবে এবং তারা তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আখেরাতে জান্নাতীগণ স্বচক্ষে আল্লাহ্ তা‘আলার দীদার (দর্শন) লাভ করবে। আহলে সুন্নাত-ওয়াল-জামা‘আতের সকল আলেম ও ফেকাহবিদ এ বিষয়ে একমত। বহু সংখ্যক হাদীসে এর যে ব্যাখ্যা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে তা হলো, আখেরাতে আল্লাহর নেক্কার বান্দাদের আল্লাহর সাক্ষাত লাভের সৌভাগ্য হবে। এক হাদীসে এসেছে, “তোমরা প্রকাশ্যে সুস্পষ্টভাবে তোমাদের রবকে দেখতে পাবে।” [বুখারী ৭৪৩৫, ৫৫৪, ৪৭৩, ৪৮৫১, ৭৪৩৪, ৭৪৩৬] অন্য হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশ করার পর আল্লাহ্ তা'আলা তাদের জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা কি চাও যে, আমি তোমাদের আরো কিছু দান করি? তারা আরয করবে, আপনি কি আমাদের চেহারা দীপ্তিময় করেননি? আপনি কি আমাদের জান্নাতে প্ৰবেশ করাননি এবং জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেননি? তখন আল্লাহ্ তা‘আলা পর্দা সরিয়ে দেবেন। ইতিপূর্বে তারা যেসব পুরষ্কার লাভ করেছে তার কোনোটিই তাদের কাছে তাদের ‘রবের’ সাক্ষাতলাভের সম্মান ও সৌভাগ্য থেকে অধিক প্রিয় হবে না। এটিই হচ্ছে সে অতিরিক্ত পুরস্কার যার কথা কুরআনে এভাবে বলা হয়েছে, অর্থাৎ “যারা নেক কাজ করেছে তাদের জন্য উত্তম পুরস্কার রয়েছে। আর এছাড়া অতিরিক্ত পুরস্কারও রয়েছে।” (সূরা ইউনুস ২৬] [মুসলিম ১৮১, তিরমিয়ী ২৫৫২, মুসনাদে আহমাদ ৪/৩৩৩] অন্য হাদীসে এসেছে, সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের রবকে দেখতে পাবো? জবাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যখন মেঘের আড়াল থাকে না তখন সূর্য ও চাঁদকে দেখতে তোমাদের কি কোনো কষ্ট হয়? সবাই বলল, না। তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের রবকে এরকমই স্পষ্ট দেখতে পাবে। [বুখারী ৭৪৩৭, মুসলিম ১৮২] এ সমস্ত হাদীস এবং অন্য আরো বহু হাদীসের ভিত্তিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীগণ প্রায় সর্বসম্মতভাবেই এ আয়াতের যে অর্থ করেন তাহলো, জান্নাতবাসীগণ আখেরাতে মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভে ধন্য হবে। কুরআন মজীদের এ আয়াত থেকেও তার সমর্থন পাওয়া যায়। “কক্ষনো নয়, তারা (অর্থাৎ পাপীগণ)” সেদিন তাদের রবের সাক্ষাৎ থেকে বঞ্চিত হবে। [সূরা আল-মুতাফ্ফিফীন ১৫] এ থেকে স্বতই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, এ বঞ্চনা হবে পাপীদের জন্য নেক্কারদের জন্য নয়। [দেখুন, ইবন কাসীর]

التفاسير:

external-link copy
24 : 75

وَوُجُوهٞ يَوۡمَئِذِۭ بَاسِرَةٞ

আর কোনো কোনো মুখমণ্ডল হয়ে পড়বে বিবর্ণ, info
التفاسير:

external-link copy
25 : 75

تَظُنُّ أَن يُفۡعَلَ بِهَا فَاقِرَةٞ

আশংকা করবে যে, এক ধ্বংসকারী বিপর্যয় তাদের উপর আপতিত হবে। info
التفاسير:

external-link copy
26 : 75

كَلَّآ إِذَا بَلَغَتِ ٱلتَّرَاقِيَ

অবশ্যই [১], যখন প্ৰাণ কণ্ঠাগত হবে info

[১] এখানে كلا শব্দ দ্বারা ‘অবশ্যই’ অর্থ উদ্দেশ্য নেওয়া হয়েছে। [মুয়াস্সার]

التفاسير:

external-link copy
27 : 75

وَقِيلَ مَنۡۜ رَاقٖ

এবং বলা হবে, ‘কে তাকে রক্ষা করবে?’ info
التفاسير:

external-link copy
28 : 75

وَظَنَّ أَنَّهُ ٱلۡفِرَاقُ

তখন তার প্রত্যয় হবে যে, এটা বিদায়ক্ষণ। info
التفاسير:

external-link copy
29 : 75

وَٱلۡتَفَّتِ ٱلسَّاقُ بِٱلسَّاقِ

আর পায়ের গোছার সঙ্গে পায়ের গোছা জড়িয়ে যাবে [১]। info

[১] ساق এর প্রসিদ্ধ অর্থ পায়ের গোছা। গোছার সাথে জড়িয়ে পড়ার এক অর্থ এই যে, তখন অস্থিরতার কারণে এক গোছা দ্বারা অন্য গোছার উপর আঘাত করবে। দ্বিতীয় অর্থ এই যে, দুর্বলতার আতিশয্যে এক পা অপর পায়ের উপর থাকলে তা সরাতে চাইলেও সক্ষম হবে না। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, তখন হবে দুনিয়ার শেষ দিন এবং আখেরাতের প্রথম দিনের সম্মিলন। তাই মানুষ দুনিয়ার শেষ দিন এবং আখেরাতের বিরহ-বেদনা এবং আখেরাতে কি হবে না হবে তার চিন্তায় পেরেশান থাকবে। অর্থাৎ সে সময় দু‘টি বিপদ একসাথে এসে হাজির হবে। একটি এ পৃথিবী এবং এর সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার বিপদ। আরেকটি, একজন অপরাধী হিসেবে গ্রেফতার হয়ে আখেরাতের জীবনে যাওয়ার বিপদ যার মুখোমুখি হতে হবে প্রত্যেক কাফের মুনাফিক এবং পাপীকে। [দেখুন, ইবন কাসীর]

التفاسير:

external-link copy
30 : 75

إِلَىٰ رَبِّكَ يَوۡمَئِذٍ ٱلۡمَسَاقُ

সেদিন আপনার রবের কাছেই সকলকে হাঁকিয়ে নেয়া হবে। info
التفاسير:

external-link copy
31 : 75

فَلَا صَدَّقَ وَلَا صَلَّىٰ

সুতরাং সে বিশ্বাস করে নি এবং সালাতও আদায় করে নি। info

‘দ্বিতীয় রুকূ’

التفاسير:

external-link copy
32 : 75

وَلَٰكِن كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ

বরং সে মিথ্যারোপ করেছিল এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। info
التفاسير:

external-link copy
33 : 75

ثُمَّ ذَهَبَ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦ يَتَمَطَّىٰٓ

তারপর সে তার পরিবার পরিজনের কাছে চলে গিয়েছিল অহংকার করে, info
التفاسير:

external-link copy
34 : 75

أَوۡلَىٰ لَكَ فَأَوۡلَىٰ

দুর্ভোগ তোমার জন্য, দুর্ভোগ ! info
التفاسير:

external-link copy
35 : 75

ثُمَّ أَوۡلَىٰ لَكَ فَأَوۡلَىٰٓ

আবার দুর্ভোগ তোমার জন্য, দুর্ভোগ [১] ! info

[১] أولى অর্থ ধ্বংস, দুর্ভোগ। সর্বনাশ হোক তোমার! মন্দ, ধ্বংস এবং দুর্ভাগ্য হোক তোমার! এখানে কাফিরদেরকে খুবই মারাত্মকভাবে সাবধান করে দেয়া হয়েছে। [ফাতহুল কাদীর] ইবন কাসীর বলেন, এটি একটি শ্লেষ বাক্যও হতে পারে। কুরআন মজীদের আরো এক জায়গায় এ ধরনের বাক্য প্রয়োগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, জাহান্নামে আযাব দেয়ার সময় পাপী লোকদের বলা হবে: “নাও, এর মজা আস্বাদন করে নাও। তুমি অতি বড় সম্মানী মানুষ কিনা।” [সূরা আদ-দুখান ৪৯]

التفاسير:

external-link copy
36 : 75

أَيَحۡسَبُ ٱلۡإِنسَٰنُ أَن يُتۡرَكَ سُدًى

মানুষ কি মনে করে যে, তাকে এমনি ছেড়ে দেয়া হবে [১] ? info

[১] আয়াতের অর্থ হলো, মানুষ কি নিজেকে মনে করে যে তার স্রষ্টা তাকে এ পৃথিবীতে দায়িত্বহীন করে ছেড়ে দিয়েছেন? এ-কথাটিই কুরআন মজীদের অন্য একস্থানে এভাবে বলা হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা‘আলা কাফেরদের বলবেন, “তোমরা কি মনে করেছো যে, আমি তোমাদের অনৰ্থক সৃষ্টি করেছি? তোমাদেরকে কখনো আমার কাছে ফিরে আসতে হবে না?” [সূরা আল মুমিনূন ১১৫] এ দু‘টি স্থানে মৃত্যুর পরের জীবনের অনিবার্যতার প্রমাণ প্রশ্নের আকারে পেশ করা হয়েছে। প্রশ্নের তাৎপর্য হলো আখেরাত যে অবশ্যই হবে তার প্রমাণ। [দেখুন, ইবন কাসীর]

التفاسير:

external-link copy
37 : 75

أَلَمۡ يَكُ نُطۡفَةٗ مِّن مَّنِيّٖ يُمۡنَىٰ

সে কি বীর্যের স্থলিত শুক্রবিন্দু ছিল না? info
التفاسير:

external-link copy
38 : 75

ثُمَّ كَانَ عَلَقَةٗ فَخَلَقَ فَسَوَّىٰ

তারপর সে ‘আলাকা’য় পরিণত হয়। অতঃপর আল্লাহ্ তাকে সৃষ্টি করেন এবং সুঠাম করেন। info
التفاسير:

external-link copy
39 : 75

فَجَعَلَ مِنۡهُ ٱلزَّوۡجَيۡنِ ٱلذَّكَرَ وَٱلۡأُنثَىٰٓ

অতঃপর তিনি তা থেকে সৃষ্টি করেন যুগল--- নর ও নারী। info
التفاسير:

external-link copy
40 : 75

أَلَيۡسَ ذَٰلِكَ بِقَٰدِرٍ عَلَىٰٓ أَن يُحۡـِۧيَ ٱلۡمَوۡتَىٰ

তবুও কি সে স্রষ্টা মৃতকে পুনর্জীবিত করতে সক্ষম নন [১]? info

[১] এক বর্ণনায় এসেছে, সাহাবীগণের একজন তার ঘরের ছাদে সালাত আদায় করত; যখনই সূরা আল-কিয়ামাহ এর এ আয়াতে পৌঁছত তখনই সে বলত: “পবিত্র ও মহান তুমি, অবশ্যই হ্যাঁ”, লোকেরা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে তা শুনেছি।” [আবু দাউদ ৮৮৪]

التفاسير: