የቅዱስ ቁርዓን ይዘት ትርጉም - የባንጋልኛ ትርጉም ‐ በአቡበክር ዘከሪያ

አን ነበእ

external-link copy
1 : 78

عَمَّ يَتَسَآءَلُونَ

তারা একে অন্যের কাছে কী বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে? info

সূরা সংক্রান্ত আলোচনা:

আয়াত সংখ্যা: ৪০ আয়াত।

নাযিল হওয়ার স্থান: মক্কী।

। রহমান, রহীম আল্লাহর নামে।

التفاسير:

external-link copy
2 : 78

عَنِ ٱلنَّبَإِ ٱلۡعَظِيمِ

মহাসংবাদটির বিষয়ে [১], info

[১] অর্থাৎ তারা কি বিষয়ে পরস্পরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে? অতঃপর আল্লাহ্ নিজেই উত্তর দিয়েছেন যে, মহাখবর সম্পর্কে। তাফসীরবিদ মুজাহিদ বলেন, এখানে মহাখবর বলে কুরআনকে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। কাতাদাহ বলেন, এখানে মহাখবর বলে কেয়ামত বোঝানো হয়েছে। এখানে এটাই প্রাধান্যপ্রাপ্ত মত। [ইবন কাসীর]

التفاسير:

external-link copy
3 : 78

ٱلَّذِي هُمۡ فِيهِ مُخۡتَلِفُونَ

যে বিষয়ে তারা মতানৈক্য করছে [১], info

[১] আয়াতের আরেকটি অর্থ হচ্ছে: “এ ব্যাপারে তারা নানা ধরনের কথা বলছে ও ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে ফিরছে।” অন্য অর্থ এও হতে পারে, দুনিয়ার পরিণাম সম্পর্কে তারা নিজেরাও কোনো একটি অভিন্ন আকীদা পোষণ করে না বরং “তাদের মধ্যে এ ব্যাপারে বিভিন্ন মত পাওয়া যায়।” কেউ কেউ আবার আখেরাত পুরোপুরি অস্বীকার করতো না, তবে তা ঘটতে পারে কিনা এ ব্যাপারে তাদের সন্দেহ ছিল। কুরআন মজীদে এ ধরনের লোকদের এ উক্তি উদ্ধৃত করা হয়েছে, “আমরা তো মাত্র একটি ধারণাই পোষণ করি, আমাদের কোনো নিশ্চিত বিশ্বাস নেই।” [সূরা আল-জাসিয়াহ ৩২] আবার কেউ কেউ একদম পরিষ্কার বলতো, “আমাদের এ দুনিয়ার জীবনটিই সবকিছু এবং মরার পর আমাদের আর কখনো দ্বিতীয়বার উঠানো হবে না।” [সূরা আল-আন‘আম ২৯]; “আমাদের এই দুনিয়ার জীবনটিই সব কিছু। এখানেই আমরা মরি, এখানেই জীবন লাভ করি এবং সময়ের চক্র ছাড়া আর কিছুই নেই যা আমাদের ধ্বংস করে।” [সূরা আল-জাসিয়াহ্ ২৪] [ফাতহুল কাদীর]

التفاسير:

external-link copy
4 : 78

كَلَّا سَيَعۡلَمُونَ

কখনো না [১], তারা অচিরেই জানতে পারবে; info

[১] অর্থাৎ আখেরাত সম্পর্কে যেসব কথা এরা বলে যাচ্ছে এগুলো সবই ভুল। এরা যা কিছু মনে করেছে ও বুঝেছে তা কোনোক্রমেই সঠিক নয়। [মুয়াসসার]

التفاسير:

external-link copy
5 : 78

ثُمَّ كَلَّا سَيَعۡلَمُونَ

তারপর বলি কখনো না, তারা অচিরেই জানতে পারবে। info
التفاسير:

external-link copy
6 : 78

أَلَمۡ نَجۡعَلِ ٱلۡأَرۡضَ مِهَٰدٗا

আমরা কি করিনি যমীনকে শয্যা info
التفاسير:

external-link copy
7 : 78

وَٱلۡجِبَالَ أَوۡتَادٗا

আর পর্বতসমূহকে পেরেক ? info
التفاسير:

external-link copy
8 : 78

وَخَلَقۡنَٰكُمۡ أَزۡوَٰجٗا

আর আমরা সৃষ্টি করেছি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায়, info
التفاسير:

external-link copy
9 : 78

وَجَعَلۡنَا نَوۡمَكُمۡ سُبَاتٗا

আর তোমাদের ঘুমকে করেছি বিশ্ৰাম [১], info

[১] মানুষকে দুনিয়ায় কাজ করার যোগ্য করার জন্য মহান আল্লাহ্ অত্যন্ত কর্মকুশলতা সহকারে তার প্রকৃতিতে ঘুমের এক চাহিদা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। কর্মের ক্লান্তির পর ঘুম তাকে স্বস্তি, আরাম ও শান্তি দান করে। [সা‘দী]

التفاسير:

external-link copy
10 : 78

وَجَعَلۡنَا ٱلَّيۡلَ لِبَاسٗا

আর করেছি রাতকে আবরণ, info
التفاسير:

external-link copy
11 : 78

وَجَعَلۡنَا ٱلنَّهَارَ مَعَاشٗا

আর করেছি দিনকে জীবিকা আহরণের সময়, info
التفاسير:

external-link copy
12 : 78

وَبَنَيۡنَا فَوۡقَكُمۡ سَبۡعٗا شِدَادٗا

আর আমরা নির্মাণ করেছি তোমাদের উপরে সুদৃঢ় সাত আকাশ [১] info

[১] সুস্থিত ও মজবুত বলা হয়েছে এ অর্থে যে, আকাশ তৈরি হয়েছে অত্যন্ত দৃঢ়-সংঘবদ্ধভাবে, তার মধ্যে সামান্যতম পরিবর্তনও কখনো হয় না, ধ্বংস হয় না, ফেটে যায় না। [তাবারী]

التفاسير:

external-link copy
13 : 78

وَجَعَلۡنَا سِرَاجٗا وَهَّاجٗا

আর আমরা সৃষ্টি করেছি প্রোজ্জ্বল দীপ [১]। info

[১] এখানে সূর্যকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে, যা সমগ্ৰ পৃথিবীর মানুষের জন্য প্রজ্জ্বলিত প্ৰদীপ। [ইবন কাসীর]

التفاسير:

external-link copy
14 : 78

وَأَنزَلۡنَا مِنَ ٱلۡمُعۡصِرَٰتِ مَآءٗ ثَجَّاجٗا

আর আমরা বর্ষণ করেছি মেঘমালা হতে প্রচুর বারি [১], info

[১] معصرات শব্দটি معصرة এর বহুবচন। এর অর্থ জলে পরিপূর্ণ মেঘমালা। [তাবারী]

التفاسير:

external-link copy
15 : 78

لِّنُخۡرِجَ بِهِۦ حَبّٗا وَنَبَاتٗا

যাতে তা দ্বারা আমরা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ info
التفاسير:

external-link copy
16 : 78

وَجَنَّٰتٍ أَلۡفَافًا

ও ঘন সন্নিবিষ্ট উদ্যান। info
التفاسير:

external-link copy
17 : 78

إِنَّ يَوۡمَ ٱلۡفَصۡلِ كَانَ مِيقَٰتٗا

নিশ্চয় নির্ধারিত আছে বিচার দিন [১]; info

[১] অর্থাৎ যে দিন মহান আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টির মাঝে বিচার-মীমাংসা করবেন সে দিন তথা কেয়ামত নির্দিষ্ট সময়েই আসবে। [মুয়াসসার]

التفاسير:

external-link copy
18 : 78

يَوۡمَ يُنفَخُ فِي ٱلصُّورِ فَتَأۡتُونَ أَفۡوَاجٗا

সেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে তখন তোমরা দলে দলে আসবে [১], info

[১] অন্যান্য আয়াত থেকে জানা যায় যে, দু’বার শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে। প্রথম ফুৎকারের সাথে সাথে সমগ্র বিশ্ব ধ্বংস প্রাপ্ত হবে এবং দ্বিতীয় ফুৎকারের সাথে সাথে পুনরায় জীবিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। এ সময় বিশ্বের পূর্ববতী ও পরবর্তী সব মনুষ দলে দলে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। এ স্থানে শিংগার দ্বিতীয় ফুঁকের কথা বলা হয়েছে। এর আওয়াজ বুলন্দ হওয়ার সাথে সাথেই প্রথম থেকে শেষ- সমস্ত মরা মানুষ অকস্মাৎ জেগে উঠবে। [ফাতহুল কাদীর]

التفاسير:

external-link copy
19 : 78

وَفُتِحَتِ ٱلسَّمَآءُ فَكَانَتۡ أَبۡوَٰبٗا

আর আকাশ উন্মুক্ত করা হবে, ফলে তা হবে বহু দ্বারবিশিষ্ট [১]। info

[১] “আকাশ খুলে দেয়া হবে” এর মানে এটাও হতে পারে যে, উর্ধজগতে কোনো বাধা ও বন্ধন থাকবে না। আসমানে বিভিন্ন দরজা তৈরি হয়ে সেগুলো হতে সবদিক থেকে ফেরেশতারা নেমে আসতে থাকবে। [ইবন কাসীর]

التفاسير:

external-link copy
20 : 78

وَسُيِّرَتِ ٱلۡجِبَالُ فَكَانَتۡ سَرَابًا

আর চলমান করা হবে পর্বতসমূহকে, ফলে সেগুলো হয়ে যাবে মরীচিকা [১], info

[১] পাহাড়ের চলার ও মরীচিকায় পরিণত হবার মানে হচ্ছে, দেখতে দেখতে মুহুর্তের মধ্যে পর্বতমালা স্থানচ্যুত হয়ে যাবে। তারপর ভেঙ্গে চূৰ্ণ বিচূর্ণ হয়ে এমনভাবে মরীচিকার মতো ছড়িয়ে পড়বে যে, মনে হবে সেখানে কিছু আছে, কিন্তু কিছু নেই। এর পরই যেখানে একটু আগে বিশাল পর্বত ছিল সেখানে আর কিছুই থাকবে না। এ অবস্থাকে অন্যত্র বলা হয়েছে: “এরা আপনাকে জিজ্ঞেস করছে, সেদিন এ পাহাড় কোথায় চলে যাবে? এদের বলে দিন, আমার রব তাদেরকে ধূলোয় পরিণত করে বাতাসে উড়িয়ে দেবেন এবং যমীনকে এমন একটি সমতল প্রান্তরে পরিণত করে দেবেন যে, তার মধ্যে কোথাও একটুও অসমতল ও উঁচু-নীচু জায়গা এবং সামন্যতম ভাঁজও দেখতে পাবে না।” [সূরা ত্বা-হা ১০৫-১০৭] [ইবন কাসীর]

التفاسير:

external-link copy
21 : 78

إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتۡ مِرۡصَادٗا

নিশ্চয় জাহান্নাম ওৎ পেতে অপেক্ষমান; info
التفاسير:

external-link copy
22 : 78

لِّلطَّٰغِينَ مَـَٔابٗا

সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য প্রত্যাবর্তনস্থল। info
التفاسير:

external-link copy
23 : 78

لَّٰبِثِينَ فِيهَآ أَحۡقَابٗا

সেখানে তারা যুগ যুগ ধরে অবস্থান করবে [১]। info

[১] অর্থাৎ তারা সেখানে অবস্থানকারী হবে সুদীর্ঘ বছর। আয়াতে ব্যবহৃত أحقاب শব্দটি حقب এর বহুবচন। এর অর্থ নির্ধারণ নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও স্বাভাবিকভাবে বলা যায় যে, এর দ্বারা ‘সুদীর্ঘ সময়’ উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। সুতরাং أحقاب দ্বারা তখন কোনো সুনির্দিষ্ট সময় বোঝা উচিত হবে না। তাই উপরে এর অনুবাদ করা হয়েছে, ‘যুগ যুগ ধরে’। এর মানে হচ্ছে, একের পর এক আগমনকারী দীর্ঘ সময় তারা সেখানে অবস্থান করবে। এমন একটি ধারাবাহিক যুগ যে, একটি যুগ শেষ হওয়ার পর আর একটি যুগ শুরু হয়ে যায়। একের পর এক আসতেই থাকবে এবং এমন কোনো যুগ হবে না যার পর আর কোনো যুগ আসবে না। [দেখুন, ইবন কাসীর] কুরআনের ৩৪ জায়গায় জাহান্নামবাসীদের জন্য ‘খুলুদ’ (চিরন্তন) শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তিন জায়গায় কেবল ‘খুলুদ’ বলেই শেষ করা হয়নি বরং তার সাথে “আবাদান” (চিরকাল) শব্দও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এক জায়গায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, “তারা চাইবে জাহান্নাম থেকে বের হয়ে যেতে, কিন্তু তারা কখনো সেখান থেকে বের হতে পারবে না এবং তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী আযাব।” [সূরা আল-মায়েদাহ ৩৭]

التفاسير:

external-link copy
24 : 78

لَّا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرۡدٗا وَلَا شَرَابًا

সেখানে তারা আস্বাদন করবে না শীতলতা, না কোনো পানীয়--- info
التفاسير:

external-link copy
25 : 78

إِلَّا حَمِيمٗا وَغَسَّاقٗا

ফুটন্ত পানি ও পুঁজ ছাড়া [১]; info

[১] মূলে গাস্সাক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এর অর্থ হয়: পুঁজ, রক্ত, পুঁজ মেশানো রক্ত এবং চোখ ও গায়ের চামড়া থেকে বিভিন্ন ধরনের কঠোর দৈহিক নির্যাতনের ফলে যেসব রস বের হয়, যা প্রচণ্ড দুৰ্গন্ধযুক্ত। [ইবন কাসীর]

التفاسير:

external-link copy
26 : 78

جَزَآءٗ وِفَاقًا

এটাই উপযুক্ত প্রতিফল [১]। info

[১] অর্থাৎ জাহান্নামে তাদেরকে যে শাস্তি দেয়া হবে, তা ন্যায় ও ইনসাফের দৃষ্টিতে তাদের বাতিল বিশ্বাস ও কুকর্মের অনুরূপ হবে। এতে কোনো বাড়াবাড়ি হবে না। [মুয়াসসার, সা‘দী]

التفاسير:

external-link copy
27 : 78

إِنَّهُمۡ كَانُواْ لَا يَرۡجُونَ حِسَابٗا

নিশ্চয় তারা কখনো হিসেবের আশা করত না, info
التفاسير:

external-link copy
28 : 78

وَكَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَا كِذَّابٗا

আর তারা আমাদের নিদর্শনাবলীতে কঠোরভাবে মিথ্যারোপ করেছিল [১]। info

[১] এ হচ্ছে তাদের জাহান্নামের ভয়াবহ আযাব ভোগ করার কারণ। তারা আল্লাহর সামনে হাজির হয়ে নিজেদের আসনের হিসেব পেশ করার সময়ের কোনো আশা করত না। দ্বিতীয়ত, আল্লাহ্ যেসব আয়াত পাঠিয়েছিলেন সেগুলো মেনে নিতে তারা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করত এবং সেগুলোকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করত। [ফাতহুল কাদীর]

التفاسير:

external-link copy
29 : 78

وَكُلَّ شَيۡءٍ أَحۡصَيۡنَٰهُ كِتَٰبٗا

আর সবকিছুই আমরা সংরক্ষণ করেছি লিখিতভাবে। info
التفاسير:

external-link copy
30 : 78

فَذُوقُواْ فَلَن نَّزِيدَكُمۡ إِلَّا عَذَابًا

অতঃপর তোমরা আস্বাদ গ্রহণ কর, আমরা তো তোমাদের শাস্তিই শুধু বৃদ্ধি করব। info
التفاسير: