قۇرئان كەرىم مەنىلىرىنىڭ تەرجىمىسى - بىنگالچە تەرجىمىسى- ئەبۇ بەكرى زەكەرىيا

بەت نومۇرى:close

external-link copy
19 : 74

فَقُتِلَ كَيۡفَ قَدَّرَ

সুতরাং ধ্বংস হোক সে! কেমন করে সে এ সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করল ! info
التفاسير:

external-link copy
20 : 74

ثُمَّ قُتِلَ كَيۡفَ قَدَّرَ

তারপরও ধ্বংস হোক সে! কেমন করে সে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হল ! info
التفاسير:

external-link copy
21 : 74

ثُمَّ نَظَرَ

তারপর সে তাকাল। info
التفاسير:

external-link copy
22 : 74

ثُمَّ عَبَسَ وَبَسَرَ

তারপর সে ভ্ৰকুঞ্চিত করল ও মুখ বিকৃত করল। info
التفاسير:

external-link copy
23 : 74

ثُمَّ أَدۡبَرَ وَٱسۡتَكۡبَرَ

তারপর সে পিছন ফিরল এবং অহংকার করল। info
التفاسير:

external-link copy
24 : 74

فَقَالَ إِنۡ هَٰذَآ إِلَّا سِحۡرٞ يُؤۡثَرُ

অতঃপর সে বলল, ‘এ তো লোক পরম্পরায় প্রাপ্ত জাদু ভিন্ন আর কিছু নয় [১] , info

[১] উদ্দেশ্য এই যে, এই হতভাগা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়ত অস্বীকার করার জন্য অনেক চিন্তা-ভাবনার পর প্রস্তাব করল, তাকে জাদুকর বলা হোক। এই ঘৃণ্য প্রস্তাবের কারণেই আল্লাহ্ তা‘আলা কুরআনে তার প্রতি বার বার অভিসম্পাত করেছেন। [ইবন কাসীর]

التفاسير:

external-link copy
25 : 74

إِنۡ هَٰذَآ إِلَّا قَوۡلُ ٱلۡبَشَرِ

এ তো মানুষেরই কথা।’ info
التفاسير:

external-link copy
26 : 74

سَأُصۡلِيهِ سَقَرَ

অচিরেই আমি তাকে দগ্ধ করব ‘সাকার’ এ info
التفاسير:

external-link copy
27 : 74

وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا سَقَرُ

আর আপনাকে কিসে জানাবে ‘সাকার’ কী? info
التفاسير:

external-link copy
28 : 74

لَا تُبۡقِي وَلَا تَذَرُ

এটা অবশিষ্ট রাখবে না এবং ছেড়েও দেবে না [১]। info

[১] এর দু‘টি অর্থ হতে পারে। একটি অর্থ হলো, যাকেই এর মধ্যে নিক্ষেপ করা হবে। তাকেই সে জ্বলিয়ে ছাই করে দেবে। কিন্তু জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়েও সে রক্ষা পাবে না। বরং আবার তাকে জীবিত করা হবে এবং আবার জ্বালানো হবে। [ইবন কাসীর] আরেক জায়গায় বলা হয়েছে: “সেখানে সে মরে নিঃশেষ হয়েও যাবে না আবার বেঁচেও থাকবে না।” [সূরা আল-আ‘লা ১৩]

التفاسير:

external-link copy
29 : 74

لَوَّاحَةٞ لِّلۡبَشَرِ

এটা তো শরীরের চামড়া পুড়িয়ে কালো করে দেবে, info
التفاسير:

external-link copy
30 : 74

عَلَيۡهَا تِسۡعَةَ عَشَرَ

‘সাকার’-এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে ঊনিশজন প্রহরী। info
التفاسير:

external-link copy
31 : 74

وَمَا جَعَلۡنَآ أَصۡحَٰبَ ٱلنَّارِ إِلَّا مَلَٰٓئِكَةٗۖ وَمَا جَعَلۡنَا عِدَّتَهُمۡ إِلَّا فِتۡنَةٗ لِّلَّذِينَ كَفَرُواْ لِيَسۡتَيۡقِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ وَيَزۡدَادَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِيمَٰنٗا وَلَا يَرۡتَابَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَ وَلِيَقُولَ ٱلَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٞ وَٱلۡكَٰفِرُونَ مَاذَآ أَرَادَ ٱللَّهُ بِهَٰذَا مَثَلٗاۚ كَذَٰلِكَ يُضِلُّ ٱللَّهُ مَن يَشَآءُ وَيَهۡدِي مَن يَشَآءُۚ وَمَا يَعۡلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَۚ وَمَا هِيَ إِلَّا ذِكۡرَىٰ لِلۡبَشَرِ

আর আমরা তো জাহান্নামের প্রহরী কেবল ফেরেশতাদেরকেই করেছি [১]; কাফিরদের পরীক্ষাস্বরূপই আমরা তাদের এ সংখ্যা উল্লেখ করেছি যাতে কিতাবপ্রাপ্তদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে, আর যারা ঈমান এনেছে তাদের ঈমান বেড়ে যায়। আর কিতাবপ্রাপ্তরা ও মুমিনরা সন্দেহ পোষণ না করে। আর যেন এর ফলে যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তারা ও কাফিররা বলে, আল্লাহ্ এ (সংখ্যার) উপমা [২] (উল্লেখ করা) দ্বারা কি ইচ্ছা করেছেন?’ এভাবে আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছে পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছে হেদায়াত করেন। আর আপনার রবের বাহিনী সম্পর্কে তিনি ছাড়া কেউ জানে না। আর জাহান্নামের এ বর্ণনা তো মানুষের জন্য এক উপদেশ মাত্র। info

[১] এখান থেকে “আপনার রবের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন” পর্যন্ত বাক্যগুলোতে একটি ভিন্ন প্ৰসংগ আলোচিত হয়েছে। “জাহান্নামের কর্মচারীর সংখ্যা শুধু উনিশ জন হবে” একথা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখে শুনে যারা সমালোচনামুখর হয়ে উঠেছিল এবং কথাটা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে শুরু করেছিল, তাই প্রাসঙ্গিক বক্তব্যের মাঝখানে বক্তব্যের ধারাবাহিকতায় ছেদ টেনে তাদের কথার জবাব দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ মানুষের দৈহিক শক্তির সাথে তুলনা করে তাদের শক্তি সম্পর্কে অনুমান করা তোমাদের বোকামী ও নিৰ্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা মানুষ নয়, বরং ফেরেশতা। তোমাদের পক্ষে অনুমান করাও সম্ভব নয় যে, কি সাঙ্ঘাতিক শক্তিধর ফেরেশতা আল্লাহ্ তা'আলা সৃষ্টি করেছেন। [দেখুন, ইবন কাসীর]

[২] ‘উপমা’ বলে এখানে আল্লাহ্ তা‘আলা যে উনিশ সংখ্যক প্রহরীর কথা বলেছেন সে কথাটিই উদ্দেশ্য। তারা বলছিল, এ সংখ্যা উল্লেখ করার কী হেকমত ছিল? [ইবন কাসীর, কুরতুবী]

التفاسير:

external-link copy
32 : 74

كَلَّا وَٱلۡقَمَرِ

কখনোই না [১], চাঁদের শপথ, info

‘দ্বিতীয় রুকূ’

[১] অর্থাৎ এটা কোনো ভিত্তিহীন কথা নয় যে, তা নিয়ে এভাবে হাসি তামাসা বা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা যাবে। [দেখুন, তাবারী]

التفاسير:

external-link copy
33 : 74

وَٱلَّيۡلِ إِذۡ أَدۡبَرَ

শপথ রাতের, যখন তার অবসান ঘটে, info
التفاسير:

external-link copy
34 : 74

وَٱلصُّبۡحِ إِذَآ أَسۡفَرَ

শপথ প্রভাতকালের, যখন তা আলোকোজ্জ্বল হয় - info
التفاسير:

external-link copy
35 : 74

إِنَّهَا لَإِحۡدَى ٱلۡكُبَرِ

নিশ্চয় জাহান্নাম ভয়াবহ বিপদসমূহের অন্যতম, info
التفاسير:

external-link copy
36 : 74

نَذِيرٗا لِّلۡبَشَرِ

মানুষের জন্য সতর্ককারীস্বরূপ- info
التفاسير:

external-link copy
37 : 74

لِمَن شَآءَ مِنكُمۡ أَن يَتَقَدَّمَ أَوۡ يَتَأَخَّرَ

তোমাদের মধ্যে যে অগ্রসর হতে চায় কিংবা যে পিছিয়ে পড়তে চায় তার জন্য [১] । info

[১] এখানে অগ্ৰে যাওয়ার অর্থ ঈমান ও আনুগত্যের দিকে অগ্রণী হওয়া। আর পশ্চাতে থাকার অর্থ ঈমান ও আনুগত্য থেকে পশ্চাতে থাকা। উদ্দেশ্য এই যে, জাহান্নামের শাস্তি থেকে সতর্ক করা সব মানুষের জন্যে ব্যাপক। অতঃপর এই সতর্কবাণী শুনে কেউ ঈমান ও আনুগত্যের প্রতি অগ্রণী হয় এবং কোনো কোনো হতভাগা এরপরও পশ্চাতে থেকে যায়। [সা‘দী]

التفاسير:

external-link copy
38 : 74

كُلُّ نَفۡسِۭ بِمَا كَسَبَتۡ رَهِينَةٌ

প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের দায়ে আবদ্ধ [১], info

[১] رَهِيْنَةٌ এর অর্থ এখানে প্রত্যেকের আটক ও বন্দী হওয়া। ঋণের পরিবর্তে বন্ধকী দ্রব্য যেমন মহাজনের হাতে আটক থাকে-মালিক তাকে কোনো কাজে লাগাতে পারে না, তেমনি কেয়ামতের দিন প্রত্যেকেই তার গোনাহের বিনিময়ে আটক ও বন্দী থাকবে। কিন্তু, আসহাবুল-ইয়ামীন তথা ডানদিকের সৎলোকগণ এ থেকে মুক্ত থাকবে। [দেখুন, ফাতহুল কাদীর]

التفاسير:

external-link copy
39 : 74

إِلَّآ أَصۡحَٰبَ ٱلۡيَمِينِ

তবে ডানপন্থীরা নয়, info
التفاسير:

external-link copy
40 : 74

فِي جَنَّٰتٖ يَتَسَآءَلُونَ

বাগ-বাগিচার মধ্যে তারা একে অপরকে জিজ্ঞেস করবে – info
التفاسير:

external-link copy
41 : 74

عَنِ ٱلۡمُجۡرِمِينَ

অপরাধীদের সম্পর্কে, info
التفاسير:

external-link copy
42 : 74

مَا سَلَكَكُمۡ فِي سَقَرَ

‘তোমাদেরকে কিসে ‘সাকার’- এ নিক্ষেপ করেছে?’ info
التفاسير:

external-link copy
43 : 74

قَالُواْ لَمۡ نَكُ مِنَ ٱلۡمُصَلِّينَ

তারা বলবে, ‘আমরা সালাত আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না [১], info

[১] এর অর্থ হলো, যেসব মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান এনে সালাত ঠিকমত আদায় করেছে আমরা তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না। [কুরতুবী]

التفاسير:

external-link copy
44 : 74

وَلَمۡ نَكُ نُطۡعِمُ ٱلۡمِسۡكِينَ

আর আমরা অভাবগ্ৰস্তকে খাদ্য দান করতাম না [১], info

[১] এ থেকে জানা যায় কোনো অভাবী মানুষকে সামর্থ থাকা সত্ত্বেও খাবার না দেয়া বা সাহায্য না করা মানুষের দোযখ যাওয়ার কারণসমূহের মধ্যে একটা কারণ। [দেখুন, ফাতহুল কাদীর, কুরতুবী]

التفاسير:

external-link copy
45 : 74

وَكُنَّا نَخُوضُ مَعَ ٱلۡخَآئِضِينَ

এবং আমরা অনর্থক আলাপকারীদের সাথে বেহুদা আলাপে মগ্ন থাকতাম। info
التفاسير:

external-link copy
46 : 74

وَكُنَّا نُكَذِّبُ بِيَوۡمِ ٱلدِّينِ

আর আমরা প্রতিদান দিবসে মিথ্যারোপ করতাম, info
التفاسير:

external-link copy
47 : 74

حَتَّىٰٓ أَتَىٰنَا ٱلۡيَقِينُ

অবশেষে আমাদের কাছে মৃত্যু আগমন করে [১]।’ info

[১] অর্থাৎ মৃত্যু পর্যন্ত আমরা এ নীতি ও কর্মপন্থা অনুসরণ করেছি। শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত বিষয় তথা মৃত্যু আমাদের সামনে এসে হাজির হয়েছে; তখন আমাদের সব আশা-কৌশলের সমাপ্তি হয়। [সা‘দী]

التفاسير: