Kur'an-ı Kerim meal tercümesi - Bengalce Tercüme - Ebubekir Zekeriyya

Sûretu'l-Hakkâh

external-link copy
1 : 69

ٱلۡحَآقَّةُ

সে অবশ্যম্ভাবী ঘটনা, info

সূরা সংক্রান্ত আলোচনা:

[১] الحاقة শব্দ দ্বারা কিয়ামতকে বুঝানো হয়েছে। [ফাতহুল কাদীর, বাগভী]

আয়াত সংখ্যা: ৫২ আয়াত।

নাযিল হওয়ার স্থান: মক্কী।

রহমান, রহীম আল্লাহ্র নামে

التفاسير:

external-link copy
2 : 69

مَا ٱلۡحَآقَّةُ

কী সে অবশ্যম্ভাবী ঘটনা ? info
التفاسير:

external-link copy
3 : 69

وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا ٱلۡحَآقَّةُ

আর কিসে আপনাকে জানাবে সে অবশ্যম্ভাবী ঘটনা কী ? info
التفاسير:

external-link copy
4 : 69

كَذَّبَتۡ ثَمُودُ وَعَادُۢ بِٱلۡقَارِعَةِ

সামূদ ও ‘আদ সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল ভীতিপ্ৰদ মহাবিপদ সম্পর্কে [১]। info

[১] القارعة শব্দটি قرع শব্দ থেকে উৎপন্ন। قرع শব্দের অর্থ আরবী ভাষায় খট্খট শব্দ করা, হাতুড়ি পিটিয়ে শব্দ করা, কড়া নেড়ে শব্দ করা এবং একটি জিনিসকে আরেকটি জিনিস দিয়ে আঘাত করা বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। কিয়ামতের ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। কেয়ামত যেহেতু সব মানুষকে অস্থির ও ব্যাকুল করে দেবে এবং সমগ্র আকাশ ও পৃথিবীকে ছিন্ন-বিছিন্ন করে দেবে, তাই একে قارعة বলা হয়েছে। তাছাড়া কিয়ামতের পূর্বাহ্নে যে মহাশব্দের মধ্যে তার সুত্রপাত হবে এখানে সেদিকেও ইঙ্গিত রয়েছে। [দেখুন-কুরতুবী]

التفاسير:

external-link copy
5 : 69

فَأَمَّا ثَمُودُ فَأُهۡلِكُواْ بِٱلطَّاغِيَةِ

অতঃপর সামূদ সম্প্রদায়, তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্ৰলয়ংকর বিপর্যয়কারী প্ৰচণ্ড চীৎকার দ্বারা, info
التفاسير:

external-link copy
6 : 69

وَأَمَّا عَادٞ فَأُهۡلِكُواْ بِرِيحٖ صَرۡصَرٍ عَاتِيَةٖ

আর ‘আদ সম্প্রদায়, তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ঝঞ্ঝাবায়ু দ্বারা [১], info

[১] ريح صرصر এর অর্থ অত্যধিক শৈত্যসম্পন্ন প্রচন্ড বাতাস। [মুয়াসাসার]

التفاسير:

external-link copy
7 : 69

سَخَّرَهَا عَلَيۡهِمۡ سَبۡعَ لَيَالٖ وَثَمَٰنِيَةَ أَيَّامٍ حُسُومٗاۖ فَتَرَى ٱلۡقَوۡمَ فِيهَا صَرۡعَىٰ كَأَنَّهُمۡ أَعۡجَازُ نَخۡلٍ خَاوِيَةٖ

যা তিনি তাদের উপর প্রবাহিত করেছিলেন সাতরাত ও আটদিন বিরামহীনভাবে; তখন আপনি উক্ত সম্প্রদায়কে দেখতেন--- তারা সেখানে লুটিয়ে পরে আছে সারশূন্য খেজুর কাণ্ডের ন্যায়। info
التفاسير:

external-link copy
8 : 69

فَهَلۡ تَرَىٰ لَهُم مِّنۢ بَاقِيَةٖ

অতঃপর তাদের কাউকেও আপনি বিদ্যমান দেখতে পান কি ? info
التفاسير:

external-link copy
9 : 69

وَجَآءَ فِرۡعَوۡنُ وَمَن قَبۡلَهُۥ وَٱلۡمُؤۡتَفِكَٰتُ بِٱلۡخَاطِئَةِ

আর ফির‘আউন, তার পূর্ববর্তীরা এবং উল্টিয়ে দেয়া জনপদ পাপাচারে লিপ্ত ছিল [১]। info

[১] مؤتفكات এর এক অর্থ উল্টে দেয়া, যা উপরে বর্ণিত হয়েছে। অন্য অর্থ পরস্পরের মিশ্রিত ও মিলিত। লুত আলাইহিস্ সালামের সম্প্রদায়ের বস্তি সমূহকে مؤتفكات বলা হয়েছে। [কুরতুবী]

التفاسير:

external-link copy
10 : 69

فَعَصَوۡاْ رَسُولَ رَبِّهِمۡ فَأَخَذَهُمۡ أَخۡذَةٗ رَّابِيَةً

অতঃপর তারা তাদের রবের রাসূলকে অমান্য করেছিল, ফলে তিনি তাদেরকে পাকড়াও করলেন --- কঠোর পাকড়াও। info
التفاسير:

external-link copy
11 : 69

إِنَّا لَمَّا طَغَا ٱلۡمَآءُ حَمَلۡنَٰكُمۡ فِي ٱلۡجَارِيَةِ

যখন জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল নিশ্চয় তখন আমরা তোমাদেরকে আরোহণ করিয়েছিলাম নৌযানে, info
التفاسير:

external-link copy
12 : 69

لِنَجۡعَلَهَا لَكُمۡ تَذۡكِرَةٗ وَتَعِيَهَآ أُذُنٞ وَٰعِيَةٞ

আমরা এটা করেছিলাম তোমাদের শিক্ষার জন্য এবং এজন্যে যে, যাতে শ্রুতিধর কান এটা সংরক্ষণ করে। info
التفاسير:

external-link copy
13 : 69

فَإِذَا نُفِخَ فِي ٱلصُّورِ نَفۡخَةٞ وَٰحِدَةٞ

অতঃপর যখন শিংগায় [১] ফুঁক দেয়া হবে ---একটি মাত্ৰ ফুঁক [২] , info

[১] হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো যে, صور কী? জবাবে তিনি বললেন, “শিং এর আকারে কোনো বস্তুকে বলা হয় যাতে ফুঁক দেয়া হবে।” [তিরমিয়ী ২৪৩০, আবু দাউদ ৪৭৪২]

[২] পবিত্ৰ কুরআনের কোথাও কোথাও এ দুই শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার কথা ভিন্নভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ফুৎকারের সময় গোটা বিশ্ব-জাহানের লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ার যে অবস্থা সূরা আল-হাজ্জের ১ ও ২ আয়াতে, সূরা ইয়াসীনের ৪৯ ও ৫০ আয়াতে এবং সূরা আত-তাকভীরের ১ থেকে ৬ পর্যন্ত আয়াতে বর্ণিত হয়েছে তা তাদের চোখের সামনে ঘটতে থাকবে। পক্ষান্তরে সূরা ত্বা-হার ১০২ থেকে ১১২ আয়াত, সূরা আল-আম্বিয়ার ১০১ থেকে ১০৩ আয়াত, সূরা ইয়াসীনের ৫১ থেকে ৫৩ আয়াত এবং সূরা ক্বাফ এর ২০ থেকে ২২ আয়াতে শুধু শিংগায় দ্বিতীয়বার ফুৎকারের কথা উল্লেখ হয়েছে।

التفاسير:

external-link copy
14 : 69

وَحُمِلَتِ ٱلۡأَرۡضُ وَٱلۡجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةٗ وَٰحِدَةٗ

আর পর্বতমালা সহ পৃথিবী উৎক্ষিপ্ত হবে এবং মাত্র এক ধাক্কায় তারা চুৰ্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। info
التفاسير:

external-link copy
15 : 69

فَيَوۡمَئِذٖ وَقَعَتِ ٱلۡوَاقِعَةُ

ফলে সেদিন সংঘটিত হবে মহাঘটনা, info
التفاسير:

external-link copy
16 : 69

وَٱنشَقَّتِ ٱلسَّمَآءُ فَهِيَ يَوۡمَئِذٖ وَاهِيَةٞ

আর আসমান বিদীর্ণ হয়ে যাবে ফলে সেদিন তা দুর্বল-বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে। info
التفاسير:

external-link copy
17 : 69

وَٱلۡمَلَكُ عَلَىٰٓ أَرۡجَآئِهَاۚ وَيَحۡمِلُ عَرۡشَ رَبِّكَ فَوۡقَهُمۡ يَوۡمَئِذٖ ثَمَٰنِيَةٞ

আর ফেরেশ্তাগণ আসমানের প্রান্ত দেশে থাকবে এবং সেদিন আটজন ফিরিশ্তা আপনার রবের ‘আরশকে ধারণ করবে তাদের উপরে। info
التفاسير:

external-link copy
18 : 69

يَوۡمَئِذٖ تُعۡرَضُونَ لَا تَخۡفَىٰ مِنكُمۡ خَافِيَةٞ

সেদিন উপস্থিত করা হবে তোমাদেরকে এবং তোমাদের কোনো গোপনই আর গোপন থাকবে না। info
التفاسير:

external-link copy
19 : 69

فَأَمَّا مَنۡ أُوتِيَ كِتَٰبَهُۥ بِيَمِينِهِۦ فَيَقُولُ هَآؤُمُ ٱقۡرَءُواْ كِتَٰبِيَهۡ

তখন যাকে তার ‘আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, সে বলবে, ‘লও, আমার ‘আমলনামা পড়ে দেখ [১]; info

[১] هاؤم শব্দের এক অর্থ, আস। অন্য অর্থ, লও। উদ্দেশ্য এই যে, আমলনামা ডানহাতে পাওয়ার সাথে সাথেই তারা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠবে এবং নিজের বন্ধু-বান্ধবদের তা দেখাবে। সে আহলাদে আটখানা হয়ে আশেপাশের লোকজনকে বলবে, লও আমার আমলনামা পাঠ করে দেখ। কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে যে, “সে আনন্দচিত্তে আপনজনদের কাছে ফিরে যাবে।” [সূরা আল-ইনশিকাক ৯]

التفاسير:

external-link copy
20 : 69

إِنِّي ظَنَنتُ أَنِّي مُلَٰقٍ حِسَابِيَهۡ

‘আমি দৃঢ়বিশ্বাস করতাম যে, আমাকে আমার হিসেবের সম্মুখীন হতে হবে।’ info
التفاسير:

external-link copy
21 : 69

فَهُوَ فِي عِيشَةٖ رَّاضِيَةٖ

কাজেই সে যাপন করবে সন্তোষজনক জীবন; info
التفاسير:

external-link copy
22 : 69

فِي جَنَّةٍ عَالِيَةٖ

সুউচ্চ জান্নাতে info
التفاسير:

external-link copy
23 : 69

قُطُوفُهَا دَانِيَةٞ

যার ফলরাশি অবনমিত থাকবে নাগালের মধ্যে। info
التفاسير:

external-link copy
24 : 69

كُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ هَنِيٓـَٔۢا بِمَآ أَسۡلَفۡتُمۡ فِي ٱلۡأَيَّامِ ٱلۡخَالِيَةِ

বলা হবে, ‘পানাহার কর তৃপ্তির সাথে, তোমরা অতীত দিনে যা করেছিলে তার বিনিময়ে।’ info
التفاسير:

external-link copy
25 : 69

وَأَمَّا مَنۡ أُوتِيَ كِتَٰبَهُۥ بِشِمَالِهِۦ فَيَقُولُ يَٰلَيۡتَنِي لَمۡ أُوتَ كِتَٰبِيَهۡ

কিন্তু যার ‘আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবে, ‘হায়! আমাকে যদি দেয়াই না হত আমার ‘আমলনামা, info
التفاسير:

external-link copy
26 : 69

وَلَمۡ أَدۡرِ مَا حِسَابِيَهۡ

আর আমি যদি না জানতাম আমার হিসেব ! info
التفاسير:

external-link copy
27 : 69

يَٰلَيۡتَهَا كَانَتِ ٱلۡقَاضِيَةَ

‘হায়! আমার মৃত্যুই যদি আমার শেষ হত ! info
التفاسير:

external-link copy
28 : 69

مَآ أَغۡنَىٰ عَنِّي مَالِيَهۡۜ

‘আমার ধন-সম্পদ আমার কোনো কাজেই আসল না। info
التفاسير:

external-link copy
29 : 69

هَلَكَ عَنِّي سُلۡطَٰنِيَهۡ

‘আমার ক্ষমতাও বিনষ্ট হয়েছে।’ info
التفاسير:

external-link copy
30 : 69

خُذُوهُ فَغُلُّوهُ

ফেরেশতাদেরকে বলা হবে, ‘ধর তাকে, তার গলায় বেড়ী পরিয়ে দাও। info
التفاسير:

external-link copy
31 : 69

ثُمَّ ٱلۡجَحِيمَ صَلُّوهُ

‘তারপর তোমরা তাকে জাহান্নামে প্ৰবেশ করিয়ে দগ্ধ কর। info
التفاسير:

external-link copy
32 : 69

ثُمَّ فِي سِلۡسِلَةٖ ذَرۡعُهَا سَبۡعُونَ ذِرَاعٗا فَٱسۡلُكُوهُ

‘তারপর তাকে শৃংখলিত কর এমন এক শেকলে যার দৈর্ঘ্য হবে সত্তর হাত’ [১], info

[১] অর্থাৎ ফেরেশতাদেরকে আদেশ করা হবে, এই অপরাধীকে ধর এবং তার গলায় বেড়ি পরিয়ে দাও। অতঃপর তাকে সত্তর গজ দীর্ঘ এক শিকলে গ্রথিত করে দাও। এ শিকল সংক্রান্ত এক বর্ণনা হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যদি এ শিকলের একটি গ্রন্থি আসমান থেকে দুনিয়াতে পাঠানো হয় তবে (অতি ভারী হওয়ার কারণে) রাতের আগেই যমীনে এসে পড়বে। যদিও আসমান ও যমীনের মাঝের দূরত্ব পাঁচশত বছরের পথ। আর সেটা যদি শিকলের মাথার অংশ হয় (অর্থাৎ আরো বড় ও ভারী হয়) তারপর যদি তা জাহান্নামে ফেলা হয় তবে সেটা তার নিম্নভাগে পৌঁছতে চল্লিশ বছর লাগবে।” [তিরমিয়ী ২৫৮৮, মুসনাদে আহমাদ ২/১৯৭]

التفاسير:

external-link copy
33 : 69

إِنَّهُۥ كَانَ لَا يُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ ٱلۡعَظِيمِ

নিশ্চয় সে মহান আল্লাহর প্রতি ঈমানদার ছিল না, info
التفاسير:

external-link copy
34 : 69

وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلۡمِسۡكِينِ

আর মিসকীনকে অন্নদানে উৎসাহিত করত না, info
التفاسير:

external-link copy
35 : 69

فَلَيۡسَ لَهُ ٱلۡيَوۡمَ هَٰهُنَا حَمِيمٞ

অতএব, এ দিন তার কোনো সুহৃদ থাকবে না, info
التفاسير:

external-link copy
36 : 69

وَلَا طَعَامٌ إِلَّا مِنۡ غِسۡلِينٖ

আর কোনো খাদ্য থাকবে না ক্ষত নিঃসৃত স্রাব ছাড়া, info
التفاسير:

external-link copy
37 : 69

لَّا يَأۡكُلُهُۥٓ إِلَّا ٱلۡخَٰطِـُٔونَ

যা অপরাধী ছাড়া কেউ খাবে না। info
التفاسير:

external-link copy
38 : 69

فَلَآ أُقۡسِمُ بِمَا تُبۡصِرُونَ

অতএব, আমি কসম করছি তার, যা তোমরা দেখতে পাও info

‘দ্বিতীয় রুকূ’

التفاسير:

external-link copy
39 : 69

وَمَا لَا تُبۡصِرُونَ

এবং যা তোমরা দেখতে পাওনা তারও; info
التفاسير:

external-link copy
40 : 69

إِنَّهُۥ لَقَوۡلُ رَسُولٖ كَرِيمٖ

নিশ্চয় এ কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের (বাহিত) বাণী [১]। info

[১] এখানে সম্মানিত রাসূল বলতে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। [কুরতুবী]

التفاسير:

external-link copy
41 : 69

وَمَا هُوَ بِقَوۡلِ شَاعِرٖۚ قَلِيلٗا مَّا تُؤۡمِنُونَ

আর এটা কোনো কবির কথা নয়; তোমরা খুব অল্পই ঈমান পোষণ করে থাক, info
التفاسير:

external-link copy
42 : 69

وَلَا بِقَوۡلِ كَاهِنٖۚ قَلِيلٗا مَّا تَذَكَّرُونَ

এটা কোনো গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই উপদেশ গ্ৰহণ কর। info
التفاسير:

external-link copy
43 : 69

تَنزِيلٞ مِّن رَّبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

এটা সৃষ্টিকুলের রবের কাছ থেকে নাযিলকৃত। info
التفاسير:

external-link copy
44 : 69

وَلَوۡ تَقَوَّلَ عَلَيۡنَا بَعۡضَ ٱلۡأَقَاوِيلِ

তিনি যদি আমাদের নামে কোনো কথা রচনা করে চালাতে চেষ্টা করতেন, info
التفاسير:

external-link copy
45 : 69

لَأَخَذۡنَا مِنۡهُ بِٱلۡيَمِينِ

তবে অবশ্যই আমরা তাকে পাকড়াও করতাম ডান হাত দিয়ে [১] , info

[১] উপরোক্ত অর্থ অনুসারে এটি সিফাতের আয়াত। অর্থাৎ এর মাধ্যমে আল্লাহর ডান হাত সাব্যস্ত হচ্ছে। [ইবন তাইমিয়্যাহ, বায়ানু তালবীসুল জাহমিয়্যাহ ৩/৩৩৮] আয়াতের অন্য অর্থ হচ্ছে, আমরা তার ডান হাত পাকড়াও করতাম। উভয় অর্থই ইবন কাসীর উল্লেখ করেছেন। এ অর্থটি এদিক দিয়ে শুদ্ধ যে, সাধারণত কাউকে অপমান করতে হলে তার ডান হাত ধরে তার উপর আক্রমণ করা হয়। [ইবন তাইমিয়্যাহ, আন-নুবুওয়াত ২/৮৯৮] অপর অর্থ হচ্ছে, তাকে আমরা আমাদের ক্ষমতা দ্বারা পাকড়াও করতাম। [সা'দী; জালালাইন; আর দেখুন, ইবন তাইমিয়্যাহ, আস-সারেমুল মাসলূল আলা শাতিমির রাসূল ১৭] এটি শুদ্ধ হলেও আল্লাহর হাত অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যা অন্যান্য আয়াত ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

التفاسير:

external-link copy
46 : 69

ثُمَّ لَقَطَعۡنَا مِنۡهُ ٱلۡوَتِينَ

তারপর অবশ্যই আমরা কেটে দিতাম তার হৃদপিণ্ডের শিরা, info
التفاسير:

external-link copy
47 : 69

فَمَا مِنكُم مِّنۡ أَحَدٍ عَنۡهُ حَٰجِزِينَ

অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেউই নেই, যে তাঁকে রক্ষা করতে পারে। info
التفاسير:

external-link copy
48 : 69

وَإِنَّهُۥ لَتَذۡكِرَةٞ لِّلۡمُتَّقِينَ

আর এ কুরআন মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই এক উপদেশ। info
التفاسير:

external-link copy
49 : 69

وَإِنَّا لَنَعۡلَمُ أَنَّ مِنكُم مُّكَذِّبِينَ

আর আমরা অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে মিথ্যা আরোপকারী রয়েছে। info
التفاسير:

external-link copy
50 : 69

وَإِنَّهُۥ لَحَسۡرَةٌ عَلَى ٱلۡكَٰفِرِينَ

আর এ কুরআন নিশ্চয়ই কাফিরদের অনুশোচনার কারণ হবে, info
التفاسير:

external-link copy
51 : 69

وَإِنَّهُۥ لَحَقُّ ٱلۡيَقِينِ

আর নিশ্চয় এটা সুনিশ্চিত সত্য। info
التفاسير:

external-link copy
52 : 69

فَسَبِّحۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلۡعَظِيمِ

অতএব, আপনি আপনার মহান রবের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন। info
التفاسير: