সূরা সংক্রান্ত আলোচনা:
সূরার আয়াত সংখ্যা: ২০০ আয়াত।
সূরার নাযিল হওয়ার স্থান: সূরাটি সর্বসম্মতভাবে মাদানী সূরা।
সূরার নামকরণ:
এ সূরার ৩৩ ও ৩৪ নং আয়াতে আলে ইমরানের কথা বলা হয়েছে। একেই আলামত হিসেবে এর নাম গণ্য করা হয়েছে। এ সূরার আরেক নাম আয-যাহরাহ বা আলোকচ্ছটা। [মুসলিম ৮০৪]
এছাড়াও এ সূরাকে সূরা তাইবাহ, আল-কানয, আল-আমান, আল-মুজাদালাহ, আল-ইস্তেগফার, আল-মানিয়াহ ইত্যাদি নাম দেয়া হয়েছে।
সূরার ফযীলত:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা কুরআন পাঠ কর। কারণ, তা পাঠকারীর জন্য কেয়ামতের দিন সুপারিশকারী হিসেবে আসবে। তোমরা দুটি আলোকচ্ছটাময় সূরা আল-বাকারাহ ও সূরা আলে ইমরান পড়; কেননা এ দুটি সূরা কেয়ামতের দিন এমনভাবে আসবে যেন দুটি মেঘখণ্ড অথবা দুটি ছায়া অথবা দু’ঝাঁক পাখির মত। তারা এসে এ দু’সূরা পাঠকারীদের পক্ষ নেবে।’ [মুসলিম ৮০৪]
অন্য এক হাদীসে এসেছে, ‘কেয়ামতের দিন কুরআন আসবে যারা কুরআনের উপর আমল করেছে, তাদের পক্ষ হয়ে। তখন সূরা আল-বাকারাহ ও সূরা আলে ইমরান থাকবে সবার অগ্রে।’ [মুসলিম ৮০৫]
-----------------------
[১] এগুলোকে হুরূফে মুকাত্তা’আত বলে। যার আলোচনা সূরা বাকারার প্রথমে চলে গেছে।