Kur'an-ı Kerim meal tercümesi - Muhtasar Kur'an-ı Kerim Tefsiri Bengalce Tercümesi

Sayfa numarası:close

external-link copy
225 : 2

لَّا يُؤَاخِذُكُمُ ٱللَّهُ بِٱللَّغۡوِ فِيٓ أَيۡمَٰنِكُمۡ وَلَٰكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا كَسَبَتۡ قُلُوبُكُمۡۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٞ

২২৫. যে কসমগুলো এমনিতেই তোমাদের মুখে প্রকাশ পায় সেজন্য আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের হিসাব নিবেন না। যেমন: তোমরা বলে থাকো, লা ওয়াল্লাহি (না, আল্লাহর কসম! ব্যাপারটি এমন নয়), বালা ওয়াল্লাহ (হাঁ, আল্লাহর কসম! ব্যাপারটি এমনই)। তাই এ ক্ষেত্রে কোন কাফফারা বা শাস্তি নেই। তবে তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে যে কসমগুলো খাচ্ছো তিনি সেগুলোরই হিসাব নিবেন। আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের গুনাহগুলো ক্ষমাকারী। তিনি ধৈর্যশীল; কাউকে দ্রæত শাস্তি দেন না। info
التفاسير:

external-link copy
226 : 2

لِّلَّذِينَ يُؤۡلُونَ مِن نِّسَآئِهِمۡ تَرَبُّصُ أَرۡبَعَةِ أَشۡهُرٖۖ فَإِن فَآءُو فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

২২৬. যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস না করার কসম খায় তাদেরকে অবশ্যই অনূর্ধ্ব চার মাস অপেক্ষা করতে হবে। যা কসমের শুরু থেকেই হিসাব করা হবে। যা শরীয়তের ভাষায় “ঈলা” নামে পরিচিত। তবে তারা যদি সহবাস না করার কসমের পর চার মাস পূর্ণ হলে অথবা তার আগে নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করে তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমাশীল। তিনি তাদের অতীত অপরাধ ক্ষমা করে দিবেন। তিনি দয়ালু। তাই তিনি এ কসম থেকে বের হওয়ার জন্য কাফফারার ব্যবস্থা করেছেন। info
التفاسير:

external-link copy
227 : 2

وَإِنۡ عَزَمُواْ ٱلطَّلَٰقَ فَإِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٞ

২২৭. আর যদি তারা কসম থেকে ফিরে না এসে নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস না করার মাধ্যমে তাদেরকে তালাক দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাদের তালাক দেয়ার কথাটি শুনেছেন। তিনি তাদের অবস্থা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানেন। তাই তিনি অচিরেই তাদেরকে এর প্রতিদান দিবেন। info
التفاسير:

external-link copy
228 : 2

وَٱلۡمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصۡنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٖۚ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَن يَكۡتُمۡنَ مَا خَلَقَ ٱللَّهُ فِيٓ أَرۡحَامِهِنَّ إِن كُنَّ يُؤۡمِنَّ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِي ذَٰلِكَ إِنۡ أَرَادُوٓاْ إِصۡلَٰحٗاۚ وَلَهُنَّ مِثۡلُ ٱلَّذِي عَلَيۡهِنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ وَلِلرِّجَالِ عَلَيۡهِنَّ دَرَجَةٞۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ

২২৮. তালাকপ্রাপ্তারা তিন ঋতু¯্রাব পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। ইতিমধ্যে তারা কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে না। এমনকি এ সময় তাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা তাদের জরায়ুতে যে সন্তান সৃষ্টি করেছেন তা গোপন রাখা বৈধ হবে না। যদি তারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসের দাবিতে সত্যবাদিনী হয়ে থাকে। তবে ইদ্দত চলাকালীন সময়ে তাদের তালাকদাতা স্বামীরা তাদেরকে আবারো ফেরত নেয়ার অধিকার রাখে যদি তারা ফেরত নেয়ার মাধ্যমে তালাকের সমস্যাগুলো দূর করা এবং ভালোবাসার ইচ্ছা পোষণ করে। বস্তুতঃ স্বামীদের উপর স্ত্রীদের সে অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে যা স্বামীদের জন্য তাদের উপর রয়েছে। তবে তা হবে প্রচলিত নিয়মানুযায়ী। তেমনিভাবে কর্তৃত্ব ও তালাকের অধিকারের ক্ষেত্রে মহিলাদের উপর পুরুষদের মর্যাদা রয়েছে। আর আল্লাহ তা‘আলা পরাক্রমশালী; তাঁকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। তেমনিভাবে তিনি তাঁর শরীয়ত ও পরিচালনায় অতি প্রজ্ঞাময়। info
التفاسير:

external-link copy
229 : 2

ٱلطَّلَٰقُ مَرَّتَانِۖ فَإِمۡسَاكُۢ بِمَعۡرُوفٍ أَوۡ تَسۡرِيحُۢ بِإِحۡسَٰنٖۗ وَلَا يَحِلُّ لَكُمۡ أَن تَأۡخُذُواْ مِمَّآ ءَاتَيۡتُمُوهُنَّ شَيۡـًٔا إِلَّآ أَن يَخَافَآ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِۖ فَإِنۡ خِفۡتُمۡ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِمَا فِيمَا ٱفۡتَدَتۡ بِهِۦۗ تِلۡكَ حُدُودُ ٱللَّهِ فَلَا تَعۡتَدُوهَاۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ ٱللَّهِ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ

২২৯. যে তালাকে স্বামী তার স্ত্রীকে ফেরত নিতে পারে তা হলো দু’ তালাক। তথা একবার তালাক দিবে আবার ফেরত নিবে। আবার তালাক দিবে আবার ফেরত নিবে। এরপর দু’ তালাক শেষে স্বামী তার স্ত্রীকে ভালোভাবে তার অধীনে রাখবে না হয় তাকে তার প্রতি দয়া ও তার অধিকার আদায় করে তৃতীয় তালাক দিবে। হে স্বামীরা! তোমাদের জন্য হালাল হবে না তোমরা নিজেদের স্ত্রীদেরকে যে মোহরানা দিয়েছো তা থেকে কোন কিছু ফেরত নেয়া। তবে স্ত্রী যদি তার স্বামীকে তার চরিত্র ও গঠনের দরুন অপছন্দ করে আর এ অপছন্দের দরুন তাদের উভয় জনই নিজেদের পরস্পর অধিকার আদায় না করার আশঙ্কা করে তাহলে তারা যেন নিজেদের ব্যাপারগুলো এমন ব্যক্তির নিকট উপস্থাপন করে যার সাথে তাদের আত্মীয়তা ইত্যাদির সম্পর্ক রয়েছে। অভিভাবকরাও যদি তাদের মধ্যকার দাম্পত্য অধিকার আদায় না হওয়ার আশঙ্কা করে তাহলে তাদের এ ব্যাপারে কোন অসুবিধে নেই যে, স্ত্রী তার স্বামীকে তালাকের বিনিময়ে কিছু সম্পদ দিয়ে নিজকে তার অধীনতা থেকে বের করে আনবে। এ শরয়ী বিধানগুলো হালাল ও হারামের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টিকারী। তাই তোমরা তা অতিক্রম করবে না। যারা হালাল ও হারামের মধ্যকার আল্লাহর দেয়া সীমারেখা অতিক্রম করবে তারা মূলতঃ নিজেদের উপর নিজেরাই যুলুম করবে। কারণ, তারা এর মাধ্যমেই নিজেরা ধ্বংসের দ্বারে উপনীত হবে এবং নিজেদেরকে আল্লাহর ক্রোধ ও তাঁর শাস্তির সম্মুখীন করবে। info
التفاسير:

external-link copy
230 : 2

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُۥ مِنۢ بَعۡدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوۡجًا غَيۡرَهُۥۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِمَآ أَن يَتَرَاجَعَآ إِن ظَنَّآ أَن يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِۗ وَتِلۡكَ حُدُودُ ٱللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوۡمٖ يَعۡلَمُونَ

২৩০. যদি কোন মহিলার স্বামী তাকে তৃতীয় তালাক দিয়ে দেয় তখন তার স্বামীর জন্য তাকে নতুন করে বিবাহ করা জায়িয হবে না যতক্ষণনা সে স্বেচ্ছায় তথা হালাল করার জন্য নয় এমন মানসে অন্য পুরুষের সাথে বিশুদ্ধভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। উপরন্তু সে পুরুষ তার সাথে সে বিবাহের ভিত্তিতে সহবাস করে। এরপর যদি তার দ্বিতীয় স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দেয় অথবা মারা যায় তখন তার ও তার পূর্ব স্বামীর কোন গুনাহ হবে না যদি তারা নতুন মোহরে নতুনভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। যদি তাদের ধারণা হয় যে, তারা শরীয়তের বাধ্যতামূলক বিধি-বিধান মানতে পারবে। এ শরয়ী বিধানগুলো আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্যই বর্ণনা করছেন যারা তাঁর বিধি-বিধান ও সীমারেখা সম্পর্কে অবগত। কারণ, তারাই তো এর দ্বারা লাভবান হতে পারবে। info
التفاسير:
Bu sayfadaki ayetlerin faydaları:
• بيَّن الله تعالى أحكام النكاح والطلاق بيانًا شاملًا حتى يعرف الناس حدود الحلال والحرام فلا يتجاوزونها.
ক. আল্লাহ তা‘আলা বিবাহ ও তালাকের বিধি-বিধানগুলো পরিপূর্ণরূপে বর্ণনা করেছেন। যাতে মানুষ হালাল ও হারামের সীমারেখাগুলো জানতে পারে এবং তা অতিক্রম না করে। info

• عظَّم الله شأن النكاح وحرم التلاعب فيه بالألفاظ فجعلها ملزمة، وألغى التلاعب بكثرة الطلاق والرجعة فجعل لها حدًّا بطلقتين رجعيتين ثم تحرم عليه إلا أن تنكح زوجا غيره ثم يطلقها، أو يموت عنها.
খ. আল্লাহ তা‘আলা বিবাহের ব্যাপারটিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন এবং তা নিয়ে যে কোন ধরনের শাব্দিক তামাশাকে হারাম করে দিয়েছেন। তাই তিনি সেটিকে তা যে কোন শব্দেই হোক না কেন বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। উপরন্তু তিনি বেশি বেশি তালাক এবং বার বার ফেরত নেয়ার তামাশাকেও বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই তিনি দুই ফেরতযোগ্য তালাকের সীমা বাতলিয়ে দিলেন। অতঃপর তৃতীয় তালাকে সে মহিলা তার জন্য হারাম হয়ে যাবে যতক্ষণনা অন্য স্বামীর নিকট যাওয়ার পর সে তালাক না দেয়। info

• المعاشرة الزوجية تكون بالمعروف، فإن تعذر ذلك فلا بأس من الطلاق، ولا حرج على أحد الزوجين أن يطلبه.
গ. দাম্পত্য জীবন প্রচলিত সুন্দর নিয়মের ভিত্তিতেই চলবে। যদি তা সম্ভবপর না হয় তাহলে তালাক দিতে কোন সমস্যা নেই। এমনকি সজন্য তাদের যে কোন পক্ষই তালাক চাইতে পারে। info