১. হে মুমিন সম্প্রদায়! তোমরা যারা আল্লাহর উপর ঈমান আনয়ন করেছো ও তাঁর প্রবর্তিত বিধান অনুযায়ী আমল করে থাকো, তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রæদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না; যাদেরকে তোমরা আপন জানবে ও ভালোবাসবে। অথচ তোমাদের নিকট তোমাদের রাসূলের পক্ষ থেকে যে দ্বীন এসেছে তারা সেটিকে অবিশ্বাস করছে। তারা রাসূলকে নিজ ঘর থেকে বের করে দেয়। তেমনিভাবে তোমাদেরকেও নিজেদের মক্কার ঘর থেকে বের করে দেয়। এ ক্ষেত্রে তারা নিকটাত্মীয় হওয়ার পরওয়া করে না। আর না জ্ঞাতি-বন্ধনের পরওয়া করে। এ সবের কারণ শুধু একটাই যে, তোমরা নিজেদের প্রতিপালক আল্লাহর উপর ঈমান আনয়ন করেছো। তাই তোমরা এ কাজ করো না, যদি তোমরা আমার পথে জিহাদ ও আমার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে থাকো। তোমরা তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনমূলক তাদের নিকট মুসলমানদের সংবাদ গোপনে পৌঁছিয়ে থাকো। অথচ আমি তোমাদের প্রকাশ্য- অপ্রকাশ্য সব সংবাদই জানি। আমার নিকট এ সবের কোন কিছুই গোপন থাকে না। বস্তুতঃ যে ব্যক্তি কাফিরদের সাথে এ ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখবে সে সরল পথ থেকে বিচ্যুত হবে এবং সত্যভ্রষ্ট হয়ে সঠিক পন্থা হারাবে।
التفاسير:
من فوائد الآيات في هذه الصفحة:
• تسريب أخبار أهل الإسلام إلى الكفار كبيرة من الكبائر.
ক. কাফিরদের নিকট মুসলমানদের গোপন সংবাদ ফাঁস করা কবীরা গুনাহ।
• عداوة الكفار عداوة مُتَأصِّلة لا تؤثر فيها موالاتهم.
খ. কাফিরদের শত্রæতা তাদের মজ্জাগত। যা তাদের সাথে বন্ধুত্ব দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার নয়।
• استغفار إبراهيم لأبيه لوعده له بذلك، فلما نهاه الله عن ذلك لموته على الكفر ترك الاستغفار له.
গ. ইবরাহীম (আলাইহিস-সালাম) এর ক্ষমা প্রার্থনা শুধু তাঁর কৃত অঙ্গীকারের ভিত্তিতে ছিলো। তাই যখন আল্লাহ তাঁর পিতার কুফরীর উপর মৃত্যু বরণের ফলে তা থেকে নিষেধ করলেন তখন তিনি তার জন্য ক্ষমা চাওয়া পরিহার করেন।