Salin ng mga Kahulugan ng Marangal na Qur'an - Salin sa Wikang Benggali ni Abu Bakr Zakaria

Al-Mursalāt

external-link copy
1 : 77

وَٱلۡمُرۡسَلَٰتِ عُرۡفٗا

শপথ কল্যাণস্বরূপ প্রেরিত বায়ুর, info

[১] আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমরা এক গুহায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে উপস্থিত ছিলাম। ইত্যবসরে সূরা মুরসালাত অবতীর্ণ হল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূরাটি আবৃত্তি করলেন আর আমি তা শুনে মুখস্থ করলাম। সূরার মিষ্টতায় তার মুখমন্ডল সতেজ দেখাচ্ছিল। হঠাৎ একটি সাপ আমাদের উপর আক্রমণোদ্যত হলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে হত্যা করার আদেশ দিলেন। আমরা সাপের দিকে অগ্রসর হলাম, কিন্তু তা পালিয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা যেমন তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ হয়েছ, তেমনি সেও তোমাদের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ হয়েছে। [বুখারী ৩৩১৭, মুসলিম ২২৩৪]

সূরা সংক্রান্ত আলোচনা:

আয়াত সংখ্যা: ৫০ আয়াত।

নাযিল হওয়ার স্থান: মক্কী।

। রহমান, রহীম আল্লাহর নামে।

التفاسير:

external-link copy
2 : 77

فَٱلۡعَٰصِفَٰتِ عَصۡفٗا

অতঃপর প্রলয়ংকরী ঝটিকার, info
التفاسير:

external-link copy
3 : 77

وَٱلنَّٰشِرَٰتِ نَشۡرٗا

শপথ প্ৰচণ্ড সঞ্চালনকারীর, info
التفاسير:

external-link copy
4 : 77

فَٱلۡفَٰرِقَٰتِ فَرۡقٗا

অতঃপর সুস্পষ্টরূপে পার্থক্যকারীর, info
التفاسير:

external-link copy
5 : 77

فَٱلۡمُلۡقِيَٰتِ ذِكۡرًا

অতঃপর তাদের, যারা মানুষের অন্তরে পৌঁছে দেয় উপদেশ--- [১] info

[১] এই সূরার প্রথমে আল্লাহ্ তা‘আলা পাঁচটি বস্তুর শপথ করে কেয়ামতের নিশ্চিত আগমনের কথা ব্যক্ত করেছেন। যে পাঁচটি জিনিসের শপথ করা হয়েছে তা হচ্ছে: (এক) একের পর এক বা কল্যাণ হিসেবে প্রেরিত। (দুই) অত্যন্ত দ্রুত এবং প্রচন্ডবেগে প্রবাহিতসমূহ। (তিন) ভালোভাবে বিক্ষিপ্তকারী। (চার) ভালোভাবে বিচ্ছিন্নকারী এবং (পাঁচ) স্মরণকে জাগ্রতকারী। এই পাঁচটি বস্তুর নাম কুরআনুল কারীমে উল্লেখ করা হয়নি, বরং নাম না বলে সেগুলোর পাঁচটি বিশেষণ উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো কার বিশেষণ, তা পুরোপুরি নির্দিষ্ট করা হয় নি। তাই এ সম্পর্কে বিভিন্নরূপে তাফসীর বর্ণিত আছে। এক দল বলেন, প্রথম তিনটি দ্বারা বাতাস এবং পরের দু‘টি দ্বারা ফেরেশতা বুঝানো হয়েছে। [ইবন কাসীর, ফাতহুল কাদীর] অপর এক দল বলেন, প্রথম দু‘টি দ্বারা বাতাস এবং পরের তিনটি দ্বারা ফেরেশতা বুঝানো হয়েছে। [মুয়াসসার] তৃতীয় এক দল বলেন, প্রথম তিনটি বিশেষণ দ্বারা বাতাস, চতুর্থটি দ্বারা কুরআন এবং পঞ্চমটি দ্বারা ফেরেশতা বুঝানো হয়েছে। [জালালাইন, আয়সারুত তাফসীর] কেউ কেউ বলেন যে প্রতিটি বিশেষণ দ্বারা ফেরেশতাদের বুঝানো হয়েছে। সম্ভবত ফেরেশতাগণের বিভিন্ন দল এসব বিভিন্ন বিশেষণে বিশেষিত। [দেখুন, কুরতুবী] তবে ইমাম তাবারী বলেন, প্রথম আয়াত দ্বারা ফেরেশতা বা বাতাস- দুটিই উদ্দেশ্য হতে পারে। দ্বিতীয় আয়তটি দ্বারা প্রবাহিত বাতাস; আর তৃতীয় আয়াতটির মাধ্যমে বাতাস, বৃষ্টি বা ফেরেশতা সবই উদ্দেশ্য হতে পারে। চতুর্থটি দ্বারা যেকোনো সত্য-মিথ্যা পার্থক্যকারী উদ্দেশ্য হতে পারে, চাই তা ফেরেশতা হোক বা কুরআন হোক বা অন্য কিছু হোক। আর পঞ্চমটির মাধ্যমে ফেরেশতাদের উদ্দেশ্য করা হয়েছে।

التفاسير:

external-link copy
6 : 77

عُذۡرًا أَوۡ نُذۡرًا

ওযর-আপত্তি রহিতকরণ ও সতর্ক করার জন্য [১] info

[১] এ আয়াতটি আগের আয়াতের সাথে সম্পৃক্ত। বলা হয়েছে, যে ফেরেশতারা যে উপদেশ ও ওহী নিয়ে আসে তার মাধ্যমে সৃষ্টির পক্ষ থেকে ওজর পেশ করার সুযোগ বন্ধ করা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাবের ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য থাকে। ফাররা বলেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে যে উপদেশ-বাণী বা ওহী আসে তা মুমিনদের জন্যে ওযর-আপত্তি রহিত করার কারণ হয় এবং কাফেরদের জন্যে সতর্ককারী হয়ে যায়। [ফিাতহুল কাদীর]

التفاسير:

external-link copy
7 : 77

إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَوَٰقِعٞ

নিশ্চয় তোমাদেরকে যে প্ৰতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা অবশ্যম্ভাবী। info
التفاسير:

external-link copy
8 : 77

فَإِذَا ٱلنُّجُومُ طُمِسَتۡ

যখন নক্ষত্ররাজির আলো নির্বাপিত করা হবে, info
التفاسير:

external-link copy
9 : 77

وَإِذَا ٱلسَّمَآءُ فُرِجَتۡ

আর যখন আকাশ বিদীর্ণ করা হবে info
التفاسير:

external-link copy
10 : 77

وَإِذَا ٱلۡجِبَالُ نُسِفَتۡ

আর যখন পর্বতমালা চূৰ্ণবিচূর্ণ করা হবে info
التفاسير:

external-link copy
11 : 77

وَإِذَا ٱلرُّسُلُ أُقِّتَتۡ

আর যখন রাসূলগণকে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত করা হবে [১] , info

[১] এখানে আল্লাহ্ তা‘আলার ওয়াদা বা ভীতিপ্ৰদ বিষয়সমূহ বাস্তবায়ন মুহূর্তের কতিপয় ভয়ানক অবস্থা বর্ণনা করে বলেন যে, প্রথমে সব নক্ষত্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে এবং ঝরে যাবে। দ্বিতীয় অবস্থা এই যে, আকাশ বিদীর্ণ হয়ে যাবে। তৃতীয় অবস্থা এই যে, পর্বতসমূহ চূর্ণ হয়ে বিক্ষিপ্ত ধূলি-কণা হওয়ার পর নাই হয়ে যাবে। চতুর্থ অবস্থা হলো, নবী-রাসূলগণের জন্যে তাদের ও তাদের উম্মতের মাঝে বিচারের জন্য উপস্থিত হওয়ার যে সময় নিরূপিত হয়েছিল, তারা যখন সে সময়ে পৌছে যাবেন এবং তাদেরকে জড়ো করা হবে। [মুয়াসসার, সা‘দী]

التفاسير:

external-link copy
12 : 77

لِأَيِّ يَوۡمٍ أُجِّلَتۡ

এসব স্থগিত রাখা হয়েছে কোন্ দিনের জন্য? info
التفاسير:

external-link copy
13 : 77

لِيَوۡمِ ٱلۡفَصۡلِ

বিচার দিনের জন্য। info
التفاسير:

external-link copy
14 : 77

وَمَآ أَدۡرَىٰكَ مَا يَوۡمُ ٱلۡفَصۡلِ

আর আপনাকে কিসে জানাবে বিচার দিন কী? info
التفاسير:

external-link copy
15 : 77

وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ

সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যারোপকারীদের জন্য [১]। info

[১] ويل দ্বারা উদ্দেশ্য ধ্বংস, দুর্ভোগ। অর্থাৎ কতই না দুর্ভোগ ও ধ্বংস রয়েছে সেসব লোকের জন্য, যারা সেদিনের আগমনের খবরকে মিথ্যা বলে মনে করেছিল। আল্লাহ্ তাদেরকে শপথ করে বলেছেন, কিন্তু তারা তা বিশ্বাস করে নি। ফলে তারা কঠোর ও কঠিন শাস্তির যোগ্য হয়ে উঠল। [সা‘দী]

التفاسير:

external-link copy
16 : 77

أَلَمۡ نُهۡلِكِ ٱلۡأَوَّلِينَ

আমরা কি পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করিনি? info
التفاسير:

external-link copy
17 : 77

ثُمَّ نُتۡبِعُهُمُ ٱلۡأٓخِرِينَ

তারপর আমরা পরবর্তীদেরকে তাদের অনুগামী করব [১]। info

[১] এটা আখেরাতের স্বপক্ষে ঐতিহাসিক প্ৰমাণ। এতে বর্তমান লোকদেরকে অতীত লোকদের অবস্থা থেকে শিক্ষা গ্ৰহণ করতে বলা হয়েছে। আদ, সামুদ, কাওমে-লুত, কাওমে-ফির‘আউন ইত্যাদিকে আল্লাহ্ ধ্বংস করেছেন। সে ধারাবাহিকতায় মক্কার কাফেরদেরকেও তিনি ধ্বংস করবেন। [দেখুন, তাবারী; ফাতহুল কাদীর] এই আযাব বদর, ওহুদ প্রভৃতি যুদ্ধে তাদের উপর পতিত হয়েছে। আর যদি দুনিয়াতে সে আযাব নাও আসে, আখেরাতে তা অবশ্যই আসবে। [ফাতহুল কাদীর]

التفاسير:

external-link copy
18 : 77

كَذَٰلِكَ نَفۡعَلُ بِٱلۡمُجۡرِمِينَ

অপরাধীদের প্রতি আমরা এরূপই করে থাকি। info
التفاسير:

external-link copy
19 : 77

وَيۡلٞ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡمُكَذِّبِينَ

সেদিন দুর্ভোগ মিথ্যারোপকারীদের জন্য। info
التفاسير: