വിശുദ്ധ ഖുർആൻ പരിഭാഷ - ബംഗാളി പരിഭാഷ - അബൂബക്കർ സക്കറിയ

ന്നാസ്

external-link copy
1 : 114

قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلنَّاسِ

বলুন, ‘আমি আশ্ৰয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, info

১১৪- সূরা আন-নাস
৬ আয়াত, মাদানী

التفاسير:

external-link copy
2 : 114

مَلِكِ ٱلنَّاسِ

মানুষের অধিপতির, info
التفاسير:

external-link copy
3 : 114

إِلَٰهِ ٱلنَّاسِ

মানুষের ইলাহের কাছে [১] info

[১] এখানে রব, মালিক এবং ইলাহ এ তিনটি গুণের অধিকারীর নিকট আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। আল্লাহ্ রব, মালিক বা অধিপতি, মাবুদ সবই। সব কিছুই তাঁর সৃষ্টি, তাঁর মালিকানাধীন, তাঁর বান্দা। তাই আশ্রয়প্রার্থনকারীকে এ তিনটি গুণে গুণান্বিত মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। [ইবন কাসীর]

التفاسير:

external-link copy
4 : 114

مِن شَرِّ ٱلۡوَسۡوَاسِ ٱلۡخَنَّاسِ

আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার [১] অনিষ্ট হতে, info

[১] এখানে কুমন্ত্রণাদাতা বলতে মানুষের সাথে নিয়োগকৃত শয়তানের কথা বলা হয়েছে, যে সঙ্গী তাকে খারাপ কাজ করাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখে না। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের প্রত্যেকের সাথেই একজন শয়তান সঙ্গী নিয়োগ করা হয়েছে। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার সাথেও? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তবে আল্লাহ্ আমাকে তার উপর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেছেন, ফলে তার থেকে আমি নিরাপদ হয়েছি এবং সে আমাকে শুধু ভাল কাজের কথাই বলে।” [মুসলিম ২৮১৪]

التفاسير:

external-link copy
5 : 114

ٱلَّذِي يُوَسۡوِسُ فِي صُدُورِ ٱلنَّاسِ

যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, info
التفاسير:

external-link copy
6 : 114

مِنَ ٱلۡجِنَّةِ وَٱلنَّاسِ

জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে [১]।’ info

[১] এখানে দুটি অর্থ হতে পারে। প্রথমটি হল, শয়তান জিন ও মানুষ-উভয় প্রকার মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। এ অর্থে এখানে ناس বলে জিন ও মানুষ সকলকে বুঝানো হয়েছে। দ্বিতীয় মতটি হল: কুমন্ত্রণাদাতা শয়তান জিনদের মধ্য থেকেও হয়, মানুষের মধ্য থেকেও হয়। এমতটিই শক্তিশালী। [ইবন কাসীর] অতএব, সারমর্ম এই দাঁড়াল যে, আল্লাহ্ তা‘আলা রাসূলকে তাঁর আশ্রয় প্রার্থনার শিক্ষা দিয়েছেন জিন-শয়তানের অনিষ্ট থেকে এবং মানুষ-শয়তানের অনিষ্ট থেকে। জিন-শয়তানের কুমন্ত্রণা হল অলক্ষ্যে থেকে মানুষের অন্তরে কোনো কথা রাখা। শয়তান যেমন মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়, তেমনিভাবে মানুষের নফসও মানুষকে কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপন নফসের অনিষ্ট থেকেও আশ্রয় প্রার্থনা শিক্ষা দিয়েছেন। হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “হে আল্লাহ্! আমি আপনার আশ্রয় চাই, আমার নফসের অনিষ্ট থেকে, শয়তানের অনিষ্ট থেকেও এবং তার শির্ক (বা জাল) থেকেও।” [আবু দাউদ ৫০৬৭, তিরমিয়ী ৩৩৯২, মুসনাদে আহমাদ ১/৯]

التفاسير: