আল-কোৰআনুল কাৰীমৰ অৰ্থানুবাদ - আল-মুখতাচাৰ ফী তাফছীৰিল কোৰআনিল কাৰীমৰ বাংলা অনুবাদ

পৃষ্ঠা নং:close

external-link copy
34 : 10

قُلۡ هَلۡ مِن شُرَكَآئِكُم مَّن يَبۡدَؤُاْ ٱلۡخَلۡقَ ثُمَّ يُعِيدُهُۥۚ قُلِ ٱللَّهُ يَبۡدَؤُاْ ٱلۡخَلۡقَ ثُمَّ يُعِيدُهُۥۖ فَأَنَّىٰ تُؤۡفَكُونَ

৩৪. হে রাসূল! আপনি এ মুশরিকদেরকে বলে দিন, তোমাদের আল্লাহ ছাড়া ইবাদাত করা সেই শরীক উপাস্যদের কেউ কি পূর্ব নমুনা ছাড়া কোন সৃষ্টি তৈরি করতে এবং তার মৃত্যুর পর তাকে আবার পুনরুজ্জীবিত করতে পারে? আপনি তাদেরকে বলে দিন, একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই পূর্ব নমুনা ছাড়া যে কোন সৃষ্টি তৈরি ও তার মৃত্যুর পর তাকে আবার পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন। তাহলে হে মুশরিকরা! তোমরা কীভাবে হক ছেড়ে বাতিলের দিকে ধাবিত হও?! info
التفاسير:

external-link copy
35 : 10

قُلۡ هَلۡ مِن شُرَكَآئِكُم مَّن يَهۡدِيٓ إِلَى ٱلۡحَقِّۚ قُلِ ٱللَّهُ يَهۡدِي لِلۡحَقِّۗ أَفَمَن يَهۡدِيٓ إِلَى ٱلۡحَقِّ أَحَقُّ أَن يُتَّبَعَ أَمَّن لَّا يَهِدِّيٓ إِلَّآ أَن يُهۡدَىٰۖ فَمَا لَكُمۡ كَيۡفَ تَحۡكُمُونَ

৩৫. হে রাসূল! আপনি তাদেরকে বলে দিন, আল্লাহ ছাড়া যেসব শরীক উপাস্যদের তোমরা ইবাদাত করো তাদের কেউ কি তোমাদেরকে সৎ পথ দেখায়? আপনি তাদেরকে বলুন, একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই সৎ পথ দেখান। অতএব, যে সত্তা মানুষকে সৎ পথ দেখান এবং তাদেরকে সত্যের দিকে ডাকেন তাঁর অনুসরণ করা উচিত, না তোমাদের সেই মা’বূদদের যারা নিজেরাই নিজেদের পথ খুঁজে পায় না যতক্ষণ না অন্যরা তাদেরকে পথ দেখায়?! তোমাদের কী হলো, তোমরা কীভাবে বাতিল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করো, তোমরা মনে করো যে, তারা আল্লাহর শরীক?! আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের এ কথার অনেক ঊর্ধ্বে। info
التفاسير:

external-link copy
36 : 10

وَمَا يَتَّبِعُ أَكۡثَرُهُمۡ إِلَّا ظَنًّاۚ إِنَّ ٱلظَّنَّ لَا يُغۡنِي مِنَ ٱلۡحَقِّ شَيۡـًٔاۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمُۢ بِمَا يَفۡعَلُونَ

৩৬. অধিকাংশ মুশরিক না জানা বিষয়ের অনুসরণ করে থাকে। তারা মূলতঃ ধারণা ও সন্দেহের অনুসরণ করে। অথচ সন্দেহ কখনো জ্ঞানের স্থলাভিষিক্ত ও তার চাহিদা পূরণ করতে পারে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাদের সকল কৃতকর্ম সম্পর্কে জানেন। তাদের কোন কর্মই তাঁর নিকট গোপন নয়। তাই তিনি অচিরেই তাদেরকে সেগুলোর প্রতিদান দিবেন। info
التفاسير:

external-link copy
37 : 10

وَمَا كَانَ هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانُ أَن يُفۡتَرَىٰ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلَٰكِن تَصۡدِيقَ ٱلَّذِي بَيۡنَ يَدَيۡهِ وَتَفۡصِيلَ ٱلۡكِتَٰبِ لَا رَيۡبَ فِيهِ مِن رَّبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ

৩৭. এ কুর‘আন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কর্তৃক রচিত হওয়া এবং তার সাথে সম্পৃক্ত করা সঠিক নয়। কারণ, মানুষ এর মতো আরেকটি আনতে একেবারেই অক্ষম। তবে এটি পূর্বের নাযিলকৃত কিতাবগুলোর সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর সংক্ষিপ্ত বিধানের বিস্তারিত বর্ণনাকারী। তাই এটি সকল সৃষ্টির প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে নাযিল হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। info
التفاسير:

external-link copy
38 : 10

أَمۡ يَقُولُونَ ٱفۡتَرَىٰهُۖ قُلۡ فَأۡتُواْ بِسُورَةٖ مِّثۡلِهِۦ وَٱدۡعُواْ مَنِ ٱسۡتَطَعۡتُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ

৩৮. বরং এ মুশরিকরা কি এটা বলতে চায় যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ কুর‘আন নিজে রচনা করে আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করেছে। হে রাসূল! আপনি তাদের উত্তরে বলুন, আমি মানুষ হয়ে নিজ হাতে এ কুর‘আন রচনা করতে পারলে তোমরাও এর মতো একটি সূরা নিয়ে আসো। আর তোমরা কুর‘আন রচিত ও মিথ্যা হওয়ার দাবিতে সত্যবাদী হলে নিজেদের সহযোগিতার জন্য সাধ্যমতো যাকে পারো ডাকো। আসলে তোমরা কখনোই তা করতে পারবে না। তোমরা আরবী ভাষাভাষী এবং ভাষাশৈলীর অধিকারী হওয়া সত্তে¡ও যখন তা করতে পারছো না তখন এটিই এ কথার দলীল যে, কুর‘আন অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকেই অবতীর্ণ। info
التفاسير:

external-link copy
39 : 10

بَلۡ كَذَّبُواْ بِمَا لَمۡ يُحِيطُواْ بِعِلۡمِهِۦ وَلَمَّا يَأۡتِهِمۡ تَأۡوِيلُهُۥۚ كَذَٰلِكَ كَذَّبَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡۖ فَٱنظُرۡ كَيۡفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلظَّٰلِمِينَ

৩৯. তারা এ প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে বরং কুর‘আনকে বুঝা ও তা নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা এমনকি তার ব্যাপারে ভীতিপ্রদর্শনকৃত শাস্তি আসার পূর্বেই তাকে দ্রæত অস্বীকার করে বসে। অথচ সেই শাস্তি অতি সন্নিকটে। এ অস্বীকারের ন্যায় পূর্বের উম্মতরাও অস্বীকার করেছে। ফলে তাদের উপর আযাব নেমে এসেছে। হে রাসূল! আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন তো, অস্বীকারকারী উম্মতদের পরিণতি কেমন হয়েছিলো। আল্লাহ তা‘আলা তাদের সবাইকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। info
التفاسير:

external-link copy
40 : 10

وَمِنۡهُم مَّن يُؤۡمِنُ بِهِۦ وَمِنۡهُم مَّن لَّا يُؤۡمِنُ بِهِۦۚ وَرَبُّكَ أَعۡلَمُ بِٱلۡمُفۡسِدِينَ

৪০. মুশরিকদের কেউ কেউ তার মৃত্যুর পূর্বে অচিরেই এর উপর ঈমান আনবে। আর কেউ কেউ অহঙ্কার ও হঠকারিতা দেখিয়ে এর উপর মৃত্যু পর্যন্ত ঈমান আনবে না। হে রাসূল! আপনার প্রতিপালক কুফরির উপর অটল ব্যক্তিদের সম্পর্কে ভালোই জানেন। তাই তিনি অচিরেই তাদেরকে এ কুফরির প্রতিদান দিবেন। info
التفاسير:

external-link copy
41 : 10

وَإِن كَذَّبُوكَ فَقُل لِّي عَمَلِي وَلَكُمۡ عَمَلُكُمۡۖ أَنتُم بَرِيٓـُٔونَ مِمَّآ أَعۡمَلُ وَأَنَا۠ بَرِيٓءٞ مِّمَّا تَعۡمَلُونَ

৪১. হে রাসূল! আপনার জাতি যদি আপনাকে মিথ্যুক মনে করে তাহলে আপনি তাদেরকে বলুন: আমি আমার আমলের সাওয়াব পাবো এবং এর ধাক্কাও সামলাবো। আর তোমরা নিজেদের আমলের সাওয়াব পাবে এবং এর শাস্তি বহন করবে। তোমরা আমার আমলের শাস্তি থেকে মুক্ত। আর আমিও তোমাদের কর্মকাÐের শাস্তি থেকে মুক্ত। info
التفاسير:

external-link copy
42 : 10

وَمِنۡهُم مَّن يَسۡتَمِعُونَ إِلَيۡكَۚ أَفَأَنتَ تُسۡمِعُ ٱلصُّمَّ وَلَوۡ كَانُواْ لَا يَعۡقِلُونَ

৪২. হে রাসূল! মুশরিকদের কেউ কেউ আপনি কুর‘আন পড়লে সে তা অবশ্যই শুনে। তবে এ শুনার পর তারা তা গ্রহণ ও বিশ্বাস করে না। যার শ্রবণশক্তি বাস্তবেই ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে আপনি কি তাকে শুনাতে পারবেন?! তেমনিভাবে যারা সত্য শুনার ব্যাপারে বধিরতার পরিচয় দিয়ে তা বুঝার চেষ্টা করে না আপনি কখনো তাদেরকে হিদায়েত দিতে পারেন না। info
التفاسير:
এই পৃষ্ঠাৰ আয়াতসমূহৰ পৰা সংগৃহীত কিছুমান উপকাৰী তথ্য:
• الهادي إلى الحق هداية التوفيق هو الله وحده دون ما سواه.
ক. সত্যের প্রতি হিদায়েতের তাওফীক দানকারী একমাত্র আল্লাহ। তিনি ছাড়া আর কেউ হিদায়েত দিতে পারেন না। info

• الحث على تطلب الأدلة والبراهين والهدايات للوصول للعلم والحق وترك الوهم والظن.
খ. জ্ঞান ও সত্যের প্রতি পৌঁছা এবং অলীক চিন্তা ও ধারণাকে পরিত্যাগ করার জন্য দলীল, প্রমাণ ও হিদায়েত অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ প্রদান। info

• ليس في مقدور أحد أن يأتي ولو بآية مثل القرآن الكريم إلى يوم القيامة.
গ. কিয়ামত পর্যন্ত কুর‘আনের মতো একটি আয়াত রচনা করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। info

• سفه المشركين وتكذيبهم بما لم يفهموه ويتدبروه.
ঘ. মুশরিকরা যা বুঝেনি এবং যা নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করেনি তা অবাস্তব বলা বোকামির পরিচয়। info